কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি-
করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ নন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুদানের টাকা পাননি উলিপুরের প্রায় শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী। বঞ্চিত শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, উলিপুরের মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের গাফিলতির কারণে তারা প্রধানমন্ত্রীর অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ জেলা প্রশাসককে দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, বেতন-ভাতা বঞ্চিত নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেক শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনী করে কোনমতে দিনযাপন করতেন। কিন্তু করোনার কারণে টিউশনী বন্থ হয়ে যাওয়ায় তাদের আর্থিক অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে পড়ে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয় থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ‘বিশেষ অনুদান’ খাত থেকে জেলার ১ হাজার ৩৫৭ জন শিক্ষক ও ৪৬৮ জন কর্মচারীর জন্য ৭৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। এককালীন অনুদান হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষক ৫ হাজার টাকা ও কর্মচারীরা ২৫০০ টাকা পেয়েছেন। উলিপুর উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ১২৬ জন শিক্ষক ও ৪০জন কর্মচারিসহ ১৬৬ কর্মচারি এই অনুদান পেয়েছেন। বাকীরা অনুদানের টাকা না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।
উলিপুরের মন্ডলের হাট মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নুরন নবী মিঞা অভিযোগ করেছেন, দু’বার কাগজপত্র দেয়ার পরেও উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও তার অফিসের কর্মচারীদের গাফিলতির কারণে তারা এই দু:সময়ে সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানের ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারি রয়েছে। একই ধরণের অভিযোগ করেছেন, বাবুরহাট নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: বজলার রহমান সরকার। এই প্রতিষ্ঠানের ৮ জন শিক্ষক কর্মচারী অনুদান বঞ্চিত হয়েছেন।
উলিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রব জানান, কাগজপত্র পাঠানোর পরেও ঢাকা থেকে কিছু শিক্ষক-কর্মচারীর নাম কর্তন করা হয়েছে। এছাড়া ঈদের ছুটির কারণে তালিকা পাঠাতে ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে বলে স্বীকার করেন ।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম জানান, সময়মত আবেদন না করায় অনেকেই অনুদান পাননি। তবে এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান প্রধানের গাফিলতি থাকতে পারে। তারপরেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানান, ২০০৯ হাল নাগাদ তালিকা অনুযায়ী অনুদান দেয়া হয়েছে। তারপরেও কেউ বাদ পড়ে থাকলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় তাদেরকে অন্তভর্ূক্ত করার অনুরোধ করে চিঠি পাঠানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *