কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

অপহরণের তিন মাসেও উদ্ধার হয়নি ফুলবাড়ীর খড়িয়াটারী রাশমেলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাইভেটে যাওয়া-আসার পথে অপহৃত কিশোরী মেরিনা খাতুন (১৫)। গত ৭ফেব্রুয়ারি ২০২১খ্রিঃ জোলানীর ঘাট গ্রামস্থ কাঁচা রাস্তা হতে বিকাল ৫টায় জাফর আলী (১৮) নামের এক যুবক মেরিনা খাতুনকে কৌশলে অপহরণ করে। অপহৃত কিশোরীর পিতা ফুলবাড়ী থানায় অপহরণ মামলা করেন। কিন্তু অপহরণের তিন মাস অতিবাহিত হলেও মেরিনাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আজোয়াটারী (হিন্দুপাড়া) গ্রামের আলতাফ হোসেন খন্দকারের কিশোরী কন্যা ও খড়িয়াটারী রাশমেলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী মেরিনা খাতুন (১৫)। প্রাইভেটে যাওয়া-আসার পথে মেরিনাকে ভাঙামোড় ইউনিয়নের দাসিয়ারছড়া (ছোটকামাত) গ্রামের তাহের আলীর অভিশপ্ত পুত্র জাফর আলী মাঝেমধ্যে রাস্তায় আটক করে বিভিন্ন কু-প্রস্তাপসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। এক পর্যায়ে কিশোরী মেরিনা খাতুন (১৫) প্রাইভেটে যাওয়া-আসার পথে গত ৭ফেব্রুয়ারি ২০২১খ্রিঃ জোলানীর ঘাট গ্রামস্থ কাঁচা রাস্তা থেকে বিকাল ৫টায় জাফর আলী (১৮) নামের এক যুবক মেরিনা খাতুনকে কৌশলে অপহরণ করে। অপহৃত কিশোরীর পিতা আলতাফ হোসেন খন্দকার বাদী হয়ে গত ১৭ফেব্রুয়ারি ২০২১খ্রিঃ ফুলবাড়ী থানায় অভিশপ্ত জাফর আলী তার সহযোগি তাহের আলী, জুমর উদ্দিন, জোহরা বেগম, আব্দুর রাজ্জাক, জাহের আলী, আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন। অপহরণের তিন মাস অতিবাহিত হলেও মেরিনাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে কিশোরী মেরিনার পরিবারের দিন কাটছে দুচিন্তায়।

স্থানীয় জাহেদুল হক, শফিকুল ইসলাম, শ্রী নির্মল চন্দ্রসহ অনেকে বলেন, কিশোরী মেরিনা খাতুনকে জোলানীর ঘাট গ্রামস্থ কাঁচা রাস্তা থেকে অটোরিকশা যোগে অপহরণের সময় আটকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে কিশোরী মেরিনার পরিবারকে বিষয়টি আবগত করেন। ঘটনার পাঁচ দিন পরে আটিয়াবাড়ী গ্রামের আমিনুল ইসলাম মাস্টার নিজ দায়িত্বে তার বাড়ীতে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে এসে অপহৃত মেরিনাকে তার বাবার হাতে তুলে দেয়ার কথা ছিলো কিন্তু ফেরত না দিয়ে তার বাবাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। অপহরণের তিন মাস অতিবাহিত হলেও মেরিনাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ পুলিশ।

অপহৃত কিশোরী মেরিনা খাতুনের বাবা আলতাফ হোসেন খন্দকার বলেন, আমার অবুঝ মেয়েকে আমি অক্ষত অবস্থায় ফেরত চাই। অপহরণের বিবাদীপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অপরদিকে পাশ্ববর্তী মৃত্যু মনছের আলীর পুত্র দালাল দুলাল মিয়া আমাকে অপহরণ মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছেন।

ফুলবাড়ী থানার এস আই-২ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, আমরা মেরিনাকে উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছি। দুলাল নামের দালাল সে অনেক বড় চালাক। তথ্য পেলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব কুমার রায় বলেন, আমরা কিশোরীকে উদ্ধার করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে আসছি এবং মামলার তদন্ত চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *