বিশেষ প্রতিনিধি :
বরগুনা জেলা খাদ্যগুদাম শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন করতে পারেনি বর্তমান নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। শুক্রবার ভোট গ্রহনের কথা থাকলেও তা করতে পারেনি সংগঠনটি।জানা যায়, শ্রমীকদের না যানিয়ে কাগজ কলমে নতুন কমিটি তারা করতে চাইছিলেন।কিন্ত তা তারা করতে পারেনি। শ্রমীক ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুবছর পরপর ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন করার কথা।এসময় শ্রমীকদের নিয়া সমাবেশ করে তফসিল দেয়ার বিধান রয়েছে। তা অনুসরন না করে প্রকৃত ভোটারদের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিয়ে বর্তমান সভাপতি আ. লতিফ মুসুল্লি তার আত্মীয় স্বজনদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তভূক্ত করেন।এসময় কথা হয় শ্রমীক ইউনিয়নের সদস্য খান জাহান, মো. ছগির বেপারী, জুয়েল মিয়া, মো. মোস্তফা গাজী, মো. মাসুদ মিয়া, ছোহরাফ, নুরুল ইসলাম, বশির, ইব্রাহীম ও শ্রী বিনয়সহ অনেক শ্রমীকের সাথে তাদের সকলের অভিযোগ তারা নির্বাচনের ব্যাপারে কিছুই জানেনা। তাদের দাবী সকল শ্রমীকদের নিয়া সমাবেশ করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে গ্রহন যোগ্য নির্বাচন দিতে হবে।এসময় তারা আরো বলেন বর্তমান সভাপতি লতিফ মুসুল্লী তার পসন্দের লোকজন ভোটার তালিকায় অন্তভূক্ত করেছেন। এবং প্রকৃত শ্রমীকদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।অবৈধ ও লতিফ মুসুল্লির পসন্দের লোকজন নিয়া গোপনে একটি কমিটি করে তা শ্রমীক ইউনিয়নে জমা দিয়ে অনুমোদন আনতে চাইছিলেন।একটু সূত্র জানায়, গত ৫ জানুয়ারী বরগুনা জেলা খাদ্যগুদাম অফিস কক্ষে এক গোপন মিটিংয়ের মাধ্যমে কাগজ কলমে তফসিল ঘোষনা করেন।কিন্ত শ্রমিকদের তা অবহিত করা হয়নি বলে শ্রমিকদের অভিযোগ।তফসিল অনুযায়ী ১২জানুয়ারী মনোনয়ন পত্র বিক্রি ১৫জানুয়ারী মনোনয়ন পত্র জমা ১৭ জানুয়ারী বাছাই ২০ জানুয়ারী প্রত্যাহার ২২ জানুয়ারী প্রতীক বরাদ্দ এবং ২৭ জানুয়ারী নির্বাচন।নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৩সদস্য বিশিস্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। কিন্ত শ্রমীকদের অভিযোগ এসব খবর তারা কিছুই জানেননা।শুক্রবার সকালে কথা হয় প্রধান নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি খলিলুর রহমানের সাথে তিনি এসময় বলেন, ভোট গ্রহনের কথা আজ ছিলো কিন্তু তা আজ হবেনা। পরে জানানো হবে কবে ভোট গ্রহন করতে পারবো।শ্রমিকদের কেন অবহিত করা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব কথা পরে আলোচনা করবো আমি একটু ব্যাস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন।বরগুনা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আমার এখানে কর্মরত শ্রমীকদের ভোটগ্রহন হলে আমারতো জানার কথা। কিন্ত কেউ আমাকে অবহিত করেনি। আর ভোট গ্রহনও হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *