আব্দুল সাত্তার টিটু
চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ কামরুল মোস্তফা’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
৬ জুন মঙ্গলবার নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শেরশাহ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আসামি কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানাধীন পেচারপাড়া এলাকার মৃত খায়রুল এনামের ছেলে।
র‌্যাব-৭ সহকারী পরিচালক মিডিয়া মোঃ নুরুল আবছার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

র‌্যাব জানান, ভুক্তভোগী ভিকটিম চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া এলাকায় একটি স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে লেখাপড়া করত। ভিকটিম যখন প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল তখন আসামী মোঃ কামরুল মোস্তাফাও তাদের স্কুলে এইচএসসিতে পড়ত। তখন ভিকটিমের সাথে কামরুলের পরিচয় হয় এবং ভিকটিম আসামীকে ভাইয়া বলে ডাকত। আসামী কামরুল শিশু ভিকটিমের সাথে বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক করে ভিকটিমকে প্রায় সময় তাদের বাসায় নিয়ে যেত। গত ০৩ আগষ্ট ২০১৪ইং তারিখে বিকাল আনুমানিক ৪ ঘটিকায় আসামী কামরুল শিশু ভিকটিকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে কক্সবাজার নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিমকে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে ০৫ আগষ্ট ২০১৪ ইং তারিখ পর্যন্ত ভিকটিমকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক উপর্যূপরি ধর্ষণ করে। পরদিন ০৬ আগষ্ট ২০১৪ আসামী কামরুল ভিকটিমকে নিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রাম আসার পথে কর্ণফুলি এলাকা হতে ভিকটিমের বাবা এবং মামা ভিকটিমকে উদ্ধার করেন এবং আসামীকে থানায় সোর্পদ করেন।

র‌্যাব আরো জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানায় আসামী কামরুলের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৫(৮)১৪, জিআর নং-২৮৫/১৪, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল মামলা নং-৭২৬/১৪, ধারা-নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৭/৯(১)। মামলা চলাকালীন সময়ে আসামী কামরুল জামিনে বের হয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতে আসামী কামরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০,০০০ টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *