স্টাফ রিপোর্টার ॥
বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের একোয়াকালচার বিভাগে কর্মরত প্রফেসর ড. আহসান বিন হাবিব প্রচার বিমুখ এক আদর্শ শিক্ষক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত প্রফেসর আহসান বিন হাবিব দেশমাতৃকার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কোন অত্যাচর, নির্যাতন তাঁকে আদর্শচ্যুত করতে পারেনি। তিনি ধ্রুবতারার মত এক উজ্জ্বল আলোক বর্তিকা। সরকার বা রাষ্ট্র তাঁকে পরিচর্যা না করায় উপযুক্ত মূল্যায়ন তিনি পাননি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শেষে শিক্ষক হিসেবে চাকুরী নিয়ে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে তাঁর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। নির্লোভ এই মানুষটি নিভৃতচারী চাষীর ন্যায় কাজ করছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুপ্রাণিতদের পাশে দাড়িয়ে দুঃসময়ে আর্থিক ও সার্বিক সহায়তা প্রদান করে আসছেন। তিনি একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর প্রফেসর আহসান বিন হাবিব সম্পর্কে জানতে গিয়ে তাঁর জীবন ইতিহাস থেকে নানান বিচিত্রময় ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর জীবন ইতিহাস থেকে পাওয়া তথ্য থেকে বিএনপি – জামাত এর মদদ পুষ্ট শিবির ও ছাত্রদলের অনেক অজানা নির্যাতনের খবর বেড়িয়ে এসেছে। ১ অক্টোবর, ২০০১ সালে জামাত-বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যায়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর পৈশাচিক কায়দায় নিষ্ঠুর হায়ানার ন্যায় ঝাপিয়ে পড়ে নির্যাতন চালাতে থাকে। বাকৃবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল তান্ডব লীলা চালায়। ছাত্রদলের অত্যাচারে ও তাদের স্টিমরোলের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে প্রাণ বাঁচানোর জন্য ওই সময়ে ১৫/২০ জন প্রথম সারির ছাত্রলীগ নেতা কর্মী ক্যাম্পাস থেকে পালাতে বাধ্য হয়। ময়মনসিংহ শহরের কাচিঝুলি এলাকায় একটি বাড়ী ভাড়া নিয়ে ওখানে আশ্রয় নেয়। শুরু হয় তাদের মানবেতর জীবন যাপন। ওই কঠিন দুঃসময়ে নিজের জীবন বাজী রেখে মানবিক শিক্ষক প্রফেসর আহসান বিন হাবিব তাঁর প্রিয় ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি একাই ছুটে যান ছাত্রদের কাছে। কাচিঝুলি গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর খোঁজ খবর নেন। ব্যক্তিগত ভাবে তাদের দৈনন্দিন খরচ চালানোর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর প্রিয় ছাত্রদের জন্য বিছানা পত্র হাড়িপাতিল,চালডাল তিনি নিজেই কিনে নিয়ে আসেন। তাঁর এই মানবিক সহযোগিতা একটি বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারি এই শিক্ষক তাঁর স্নেহভাজন ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে টানা ৪ বছর আর্থিক ও সার্বিক ভাবে সহায়তা করেছেন। এই ছাত্রদের সবাই ছিল অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। মেধাবী ছাত্রলীগ নেতা তাদের লেখাপড়া শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্চতর পদে চাকুরী করছেন। নির্যাতিত ছাত্রদের মধ্যে আব্দুল বাতেন বাকৃবি এর সহকারী রেজিস্ট্রার পদে চাকুরী করছেন। নূরে আলম বাংলাদেশ বিমানের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। সিরাজুল ইসলাম কাজল, বাকৃবি’র সহকারী রেজিস্ট্রার। ইকবাল একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। আতিকুজ্জামান রয়েল বাকৃবি’র অতিরিক্ত ট্রেজারার। আবুল বাশার আমজাদ বাকৃবি’র বাউ-১ এর ডেপুটি ডিরেক্টর। মোমেন , পুলিশ সুপার, মুন্সিগঞ্জ এবং মোঃ সাইফুর রহমান রিপন, পুলিশ সুপার নাটোরে কর্মরত আছেন। এই নির্যাতিত মেধাবী ছাত্রদের প্রত্যেকেই রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসিন রয়েছেন। এই মেধাবী ছাত্রদেরকে সহায়তা না করলে হয়তো বা তাদের শিক্ষা জীবন অন্ধকারে নিমজ্জিত হতো। প্রফেসর ড. আহসান বিন হাবিবের এ ধরনের আরও সহায়তার ঘটনা রয়েছে। ২০০১ সালে জামাত-বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বাকৃবি ক্যাম্পাসে ১৫ ই আগষ্ট জাতীয় শোকদিবস পালন করা অলিখিত ভাবে নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু প্রফেসর আহসান বিন হাবিব এই নিষেধ অমান্যকরে প্রতিবছর জীবন বাজী রেখে বাকৃবি’র ফাস্ট গেইটে ১৫ ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যদায় সাহসিকতার সাথে পালন করেছেন। তিনি পাশ^বর্তী কেওয়াটখালী বিদ্যুৎ পাওয়ার স্টেশনে কর্মরত শ্রমিক লীগকে ১৫ ই আগস্ট পালন করার জন্য ব্যক্তিগত ভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। তাঁর উৎসাহ ও আর্থিক সহায়তার কারণে ভাবগম্ভীর পরিবেশে যথাযথ মর্যাদায় কেওয়াটখালী বিদ্যুৎ অফিসে শ্রমিক লীগ কর্মচারীরা ১৫ই আগস্ট পালন করেছেন। দিঘারকান্দা ময়নার মোড় ও পার্শ¦বর্তী এলাকার স্বাধীনতার স্বপক্ষের আওয়ামী পন্থী নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়। তাদেরকে প্রফেসর ড. আহসান বিন হবিব আইনী ও আর্থিক সহায়তা করে মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা করেছেন। উল্লেখ্য সে সময় ছাত্রদল ও শিবির কর্মীরা বাকৃবি’র ছাত্রলীগের একনিষ্ঠকর্মী ও নেতা যথাঃÑ মোঃ আশরাফুল ইসলাম(ডিরেক্টর,কীটনাশক কোঃ),মোঃ সাইফুর রহামন রিপন (এস.পি. নাটোর), এস এম সাইফুল ইসলাম(ডি.সি ফুড, সিরাজগঞ্জ) এম এম খালিদ(ডিরেক্টর,কীটনাশক কোঃ), দীপক কুমার ভৌমিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। তিনি আইনী ও আর্থিক সহায়তা করে তাদেরকে মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি তার জীবন ইতিহাসের একাধিক স্থানে আইনী সহায়তা ও রাজনৈতিক ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য বর্তমান ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের নাম উল্লেখ করেছেন। তাঁর ভাষায় মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল একজন সাধারণ নেতা কর্মীই নন। আপাদমস্তক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন যোগ্য উত্তরসূরী। পালিয়ে যাওয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তিনি ছায়া দিয়ে,সাহস যোগীয়ে আইনী সহায়তা প্রদান করেছেন। প্রফেসর ড. আহসান বিন হাবিব স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনীতির একজন পৃষ্ঠপোষকই নন, পেশাগত ভাবে তিনি একজন সফল,আদর্শ শিক্ষক ও গবেষক। শিক্ষক হিসেবে গবেষণা মূলক কার্যক্রমে তাঁর গভীর মনোনিবেশ রয়েছে। তাঁর গবেষণার বিভিন্ন বিষয়ে ১১৮ টি গবেষণা পত্র জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর অধীনে সফলতার সাথে ৮জন পিএইচি ডিগ্রি লাভ করেছেন ও ১৬৭ জন এমএস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। জামালপুরের মেলান্দহে অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে তাঁকে ভিসি পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য মির্জা আযম এমপি ডি.ও লেটার দিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে ছিলেন। বিশ^জোরে প্রচারিত রিসার্চগেইটের মাধ্যমে ৯২% গবেষক প্রফেসর ড. আহসান বিন হাবিবকে চিনেন ও আইফ্যাক্টার ১৬। প্রায় ৩৭ হাজার গবেষক প্রফেসর ড. আহসান বিন হাবিবের গবেষণাপত্র দেখেছেন এবং ১৬০০ জন তাঁদের গবেষণা পত্রে প্রফেসর ড. আহসান বিন হাবিবের গবেষণার বিষয়বস্তুর ফলাফল উল্লেখ করেছেন। মৎস্য সম্পদের উপর তাঁর গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদ্ভাবন রয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন সফল বিজ্ঞানী। এই মেধাবী শিক্ষককে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য ৪টি মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ এনে বিএনপি-জামাত পন্থী সরকার তদন্ত কমিটি ঘটন করিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করার অপচেষ্টা চালান। কিন্তু তাঁর সততা ও কর্মদক্ষতার সমানে কোন ষড়যন্ত্রই টিকে নাই। তদন্তে সকল কিছুই মিথ্যা প্রমাণিত হয়। তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রফেসর ড. আক্তার হোসেন ভিসি নিয়োগ পেয়ে প্রফেসর আহসান বিন হাবিবকে ক্ষতিগ্রস্থ করেন। কোন কারণ ছাড়াই ক্ষমতার ধাপটে তাঁর পদাবনতী ঘটানো হয়। প্রফেসর ড. আহসান বিন হাবিবের পারিবারিক জীবন ইতিহাসও নান্দনিক ও বর্ণাঢ্য। উত্তর বঙ্গের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচুল থানার কোষমাডাঙ্গা ঘিওন ও সিংরোল গ্রামের সাঁওতালদের নিয়ে ইলামিত্রের বিখ্যাত তেভাগা আন্দোলনের এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন প্রফেসর ড. আহসান বিন হাবিব। তিনি গ্রামের স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে সারদা সরকারী পাইলট হাই স্কুল থেকে ১৯৭১ -১৯৭২ অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান বিভাগে এস এস সি ও ১৯৭৩ সনে-১৯৭৪ অনুষ্ঠিত এইচ এস সি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হন। পরে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য বাকৃবিতে মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তি হন। কৃতিত্বের সাথে শিক্ষাজীবন শেষ করে এ্যাকোয়াকালচার বিভাগে শিক্ষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন।

তাঁর জীবন ইতিহাস থেকে আরও জানা যায়, ১৯৯২ সালে ৭,৮ ও ৯ ডিসেম্বর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কর্র্তৃক আহুত হারতালকে সফল করার জন্য মিছিলের তিনি অগ্রভাবে ছিলেন। বাকৃবি’র উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শিবির ও ছাত্রদলের ক্যাডাররা মিছিলে গুলি চালায়। এতে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে। মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য বাকৃবি প্রশাসন কমিটি প্রফেসর আহসান বিন হাবিব সহ ৩ জন শিক্ষককে শোকজ করেন। কিন্তু কোন শাস্তি দিতে পারে নাই। স্বাধীনতার স্বপক্ষের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক কর্মচারীকে ২০০২ সালে চাকুরীচ্যুত করার ঘটনার প্রতিবাদে এবং বাকৃবি প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকান্ডের উপর প্রতিবাদ করে জোরালো বক্তব্য রাখার কারণে তৎকালীন বিএনপি-জামাত মদদপুষ্ট ভিসি প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান প্রফেসর ড. আহসান বিন হাবিবের বিরুদ্ধে পর পর ৪টি তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং তাঁকে শোকজ করা হয়। এছাড়া স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের নানান অবৈধ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় প্রক্টর শাখায় কর্মরত থাকাবস্থায় বিভিন্ন কর্মকান্ডের উপর তদন্তের জন্য প্রফেসর ড.আহসান বিন হাবিবের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে শোকজ করা হয়। কোন কিছুই প্রফেসর আহসান বিন হাবিবকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চ্যুত করতে পারে নাই। প্রফেসর আহসান বিন হাবিবকে শাস্তি দেওয়ার জন্য জামাত-বিএনপি পন্থীরা অব্যাহত প্রচেষ্ট চালিয়ে যায়। উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে উত্তর পত্রে তাঁর দেওয়া নম্বর সিট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়। এ্যাকোয়াকালচার বিভাগের সমস্ত শিক্ষকদের ভুল ধরা পরে । কিন্তু তদানিন্দন বিএনপি-জামাত প্রশাসন গাঁয়ের জোরে প্রফেসর আহসান বিন হাবিবকে শাস্তি প্রদানের প্রস্তাব করেন। পরবর্তীতে তত্ববাধায়ক সরকার কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. আক্তার হোসেন প্রফেসর আহসান বিন হাবিবকে তাঁর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চেতনা থেকে সরাতে না পেরে শাস্তি প্রদান করেন। ২০০৮ সালে তাঁকে প্রফেসর পদ থেকে সহযোগী প্রফেসর পদে পদাবনতী ঘটায়। পরবর্তীতে তাঁর বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ২০১১ সালে তাঁর শাস্তি প্রত্যাহার করে প্রফেসর পদে পুনঃবাহাল করা হয়। প্রফেসর ড. আহসান বিন হাবিব প্রজন্মের কাছে একজন অনুকরণীয় ও অনুসরনীয় শিক্ষক হিসেবে আজীবন শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে থাকবেন। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের এই মহান শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় ভাবে মূল্যায়ন বা পুরস্কৃত করা হয় নাই। তিনি তাঁর নিজের জীবনকে বাজী রেখে দেশ ও জাতির জন্য অবদান রেখে যাচ্ছেন। তাঁর ছত্রছায়ায় থেকে অনেক সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী নিজের জীবনকে গড়তে সক্ষম হয়েছে। অভিজ্ঞজনেরা দেশ , জাতি ও রাষ্ট্রের প্রয়োজনে এই মহান শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত করে উপযুক্ত স্থানে পদায়ন করার জন্য দাবী জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *