ষ্টাফ রিপোর্টার
ভুরুঙ্গামারীতে ভিজিডি কর্মসুচির ফিল্ড ট্রেইনার এপেক্স এনজিও কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিজিডি ষ্টাফদের ভিজিডি সুবিধাভোগী নির্বাচন জরিপ ও ভ্রমন ভাতার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাগেছে,কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় আইসিভিজিডি প্রকল্প শুরু হলে ভিজিডি কর্মসুচির ফিল্ড ট্রেইনার হিসাবে এপেক্স নামক একটি এনজিও দায়িত্ব পায়। এনজিওটি ভুরুঙ্গামারী প্রকল্প অফিসে স্থানীয় ৫ জনকে ভিজিডি ষ্টাফ পদে নিয়োগ প্রদান করে। তারা উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডধারী মহিলাদের মধ্যে সুবিধাভোগী নির্বাচন জরিপ সম্পন্ন করলে তাদের প্রত্যেকের জন্য আইসিভিজিডি প্রকল্প থেকে ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও এপেক্স এনজিওটি তাদের মাত্র ৮ হাজার টাকা প্রদান করে। এছাড়া ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ভিজিডি ষ্টাফদের আইসিভিজিডি থেকে ৯ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও তাদের ৬হাজার টাকা প্রদান করে সমুদয় টাকা আত্মসাত করে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন সময়ে ষ্টাফদের আবাসিক ও যাতায়াত প্রদানের বরাদ্দ থাকলেও তা না দিয়েই আত্মসাত করে। এছাড়া এপেক্স এনজিওর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে ভুয়া বিল ভাউচার করে তাদের নিকট থেকে অগ্রিম স্বাক্ষর নিয়েও টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে। ইতিপুর্বে বিশ্ব খাদ্য কর্মসুচির ভিজিডি কার্ড ধারী মহিলাদের প্রত্যেকের ৪০ টাকা বরাদ্দ প্রদান করলেও তারা ঐ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করে। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তড়িঘড়ি করে কিছু টাকা বিতরণ দেখায়। ভিজিডি ষ্টাফদের ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও তাদের পাওনাদি পরিশোধ না করায় সেলিমউদ্দিন আহমেদ নামে একজন তাদের পাওনা টাকা প্রদানের জন্য গত ৩০ এপ্রিল মহাপরিচালক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর,বিশ্ব খাদ্য কর্মসুচি সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করে। এ বিষয়ে বিশ্ব খাদ্য কর্মসুচির দায়িত্ব প্রাপ্ত কাকলী চক্রবর্তীর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,অভিযোগ পেয়েছি,আসলে ততটা নয়,এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রহিমা রওনকের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,অভিযোগ পেয়েছি,তবে বিষয়টি দায়দায়িত্ব আমার একার নয়। এপেক্স ভুরুঙ্গামারী প্রকল্প অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাইদুজ্জামানের নিকট মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দেয়া মাত্র মোবাইল কেটে দেন। অনতি বিলম্বে এনজিওটির বিরুদ্ধে আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করেছেন প্রতারিত ষ্টাফ সহ এলাকার অভিজ্ঞ মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *