ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। গদাধর, কালজানি,ফুলকুমার ও দুধকুমারসহ সবকটি নদ নদীর পানি কমলেও থেমে নেই দুধকুমার ও কালজানি নদীর ভাঙ্গন।পানি কমলেও দূর্ভোগ কমেনি বন্যাকবলিত মানুষের। ভাঙ্গছে কালজানি দুধকুমার। ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার সময় পাচ্ছেনা অনেকেই। দক্ষিন ধলডাঙ্গা, শালঝোড়, দক্ষিন তিলাই, দক্ষিনছাটগোপালপুর, নলেয়া, ইসলামপুর, পাইকেরছড়া, চর ধাউরারকুটি, হেলোডাঙ্গার নদীতীরবর্তী মানুষেরা ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের মানুষ এখনো পানিবন্দি রয়েছে। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, চিকিৎসাসহ গো-খাদ্যের সংকট। বন্যায় ক্ষেতের ফসল ,শাকসব্জি, পুকুরের মাছ হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতিতে পড়েছে মানুষ। চরাঞ্চলের কাঁচা সড়কগুলো তলিয়ে থাকায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দুইদফা বন্যায় মোট ১২৮৮৪টি পরিবারের ৭৫০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে বীজতলা ১১৬ হেঃ, আউস ২০হেঃ, ভূট্টা ১৫ হেঃ, শাক-সব্জি ২৮০হেঃ, মরিচ৬০হেঃ এবং পাট ১৭২হেঃ। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমান ৪ হাজার ৮শ ৫৪ দশমিক ৪১ লক্ষ টাকা। উপজেলার শিলখুড়ী ইউনিয়নের শালঝোরের বাসিন্দা আঃ খালেক জানান, বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও কাজ জুটছে না। ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।নদীতে তেমন মাছও পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, নুনখাওয়া পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি কমে বিপদসীমার ১৫সেঃমিঃ নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানান, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *