ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর রায়গঞ্জ যুদ্ধে শহীদ বীরউত্তম লে: আবু মঈন মোহাম্মদ আশফাকুস সামাদের ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার জয়মনিরহাট মসজিদের সামনে তার সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ উদ্যোগ শেকড়, রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পরিচালিত বীরউত্তম শহীদ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয়, জয়মনিরহাট লে. সামাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, এনজিও সলিডারিটি, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
পরে দোয়া মাহফিল শেষে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ডের সহঃ সাংগনিক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণী,কুড়িগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু, ভূরুঙ্গামারী সার্কেল এ এস পি শওকত আলী,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মহিউদ্দিন আহমেদ, লে. সামাদের সহযোদ্ধা হারুন অর রশিদ লাল, প্রধান শিক্ষক কাজিম উদ্দিন, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি জ্যোতি আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের ১৯ নভেম্বর মধ্যরাতে রায়গঞ্জ দখলে নিতে ৬নং সেক্টরের আওতাধীন সাহেবগঞ্জ সাব-সেক্টরের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনী যৌথ অভিযান চালায়। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল নিয়ে এগিয়ে যান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম ব্যাচের কমিশন্ড অফিসার লে. আবু মঈন মোহাম্মদ আশফাকুস সামাদ। যুদ্ধরত অবস্থায় নাগেশ্বরীর রায়গঞ্জ ব্রিজের নিচে পশ্চিম পাশে পাকবাহিনীর একটি বুলেট তার মাথায় বিদ্ধ হলে তিনি ঘটনাস্থলে শহীদ হন। পাক বাহিনীর অবস্থান খুব কাছাকাছি থাকায় সেদিন তার মৃতদেহ উদ্ধার করা যায়নি। পরদিন ২০ নভেম্বর সহযোদ্ধারা তার মৃতদেহসহ ওই যুদ্ধে শহীদ দুই ভাই আলী হোসেন ও আবুল হোসেন এবং আব্দুল আজিজের মৃতদেহ উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার জয়মনিরহাট মসজিদের সামনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। পরবর্তীতে জয়মনির হাটের নাম রাখা হয় সামাদ নগর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *