ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর রাঙ্গালীরকুটি একটি ডোবায় বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করে তা বাজারজাত করছে অসাধু জেলেরা। বিষক্রিয়ায় নিধন হচ্ছে দেশী মা- মাছসহ সব ধরণের জলজ প্রাণী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া এবং নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সীমান্তের রাঙ্গালীরকুটির একটি ডোবায় রবিবার ভোরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করে কেদার ইউনিয়নের জেলে পাড়ার সম্বারু বিশ্বাস এবং বিমান বিশ্বাস নামের দুই জেলে। বিষয়টি জানাজানি হলে ডোবা থেকে সটকে পড়ে তারা। পরে এলাকার সাধারণ মানুষ দিনব্যাপী মরা মাছ সংগ্রহ করে বাড়িতে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার রাতে সাদ্দাম গ্যাস নামের এক প্রকার বিষ ওই ডোবার পানিতে প্রয়োগ করা হয়। এতে কাজ না হলে শনিবার রাতে বিপুল পরিমানের একই বিষ ওই জলাশয়ে প্রয়োগ করা হলে সবধরনের মাছ, পোকা মাকড়,কাকড়াসহ ব্যাঙ মরে ভেসে উঠতে থাকে। পরে ওই দুই জেলে মরা মাছ সংগ্রহ করতে থাকে। এদিকে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে তার সটকে পড়ে।
ডোবার মালিক রাঙ্গালীরকুটি গ্রামের লোকমান হোসেন জানান, স্থানীয় জেলে সম্বারু ও বিমানের কাছে জাল দিয়ে মাছ শিকার করার শর্তে ডোবার মাছ বিক্রি করে দেই। ডোবায় পানি বেশী থাকায় তারা আমাকে না জানিয়েই বিষ প্রয়োগ করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী অনুকুল জানায়, বিষ প্রয়োগের ফলে সবধরণের মাছ ভেসে উঠলে সম্বারু ও বিমান ক্ষেতা জাল দিয়ে তুলে নিয়ে যায়।
বলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, ্ওই ডোবায় বিষ প্রয়োগে জলজ সব ধরনের প্রানী মরে গেছে, ডোবার পানি বিষে পরিণত হয়েছে। বাতাসে পচা মাছের গন্ধ ছড়াচ্ছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারাজুল ইসলাম জানান, বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার সম্পূর্ণ অবৈধ । অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একটি মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সুবলপাড় বাজারে সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদ আহমেদ মিলনের হোটেলে গ্রাম্য শালিস মিমাংসার পায়তারা করছে। অনতি বিলম্বে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনকারী জেলেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *