ইশরাত জাহান চৌধুরী, মৌলভীবাজার ::
মৌলভীবাজারে হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সারমিন আক্তারকে বিয়ে দেয়ার অপরাধে মত বিনিময় সভায় ডেকে এনে পিতা ইছাক মিয়াকে ১ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভ্রাম্যামান আদালত। জানা গেছে- শহরের বেড়ীরচর এলাকার ইছাক মিয়ার মেয়ে হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সারমিন আক্তার (১৫) গত ১৬ জুলাই গনিত পরীক্ষা দিয়ে যাবার পর থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগম তার পিতা-মাতাকে একাধিক দিন ফোন করে সারমিনের অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে তারা নানা টালবাহানা করে আসছিলেন। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগম এতে সন্দিহান হয়ে সারমিনের সহপাঠিদেরকে জিজ্ঞেস সারমিনকে বিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানতে পারেন। এরপর গত ১৪ আগষ্ট বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত “জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করনীয়” বিয়ষক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত প্রধান অতিথি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেন, বিশেষ অতিথি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সামাদ মিয়া, মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি অকিল উদ্দিন আহমদ ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগম মোবাইল ফোনে সারমিনের পিতা ইছাক মিয়াকে ওই অনুষ্ঠানে ডেকে আনেন এবং সারমিন কোথায় জানতে চাইলে ইছাক মিয়া তাকে একই এলাকার তফু মিয়ার পুত্র তুহিন আহমদ (২৫) এর সাথে বিয়ে দিয়েছেন বলে জানান। ইছাক মিয়ার স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেন সেখানেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ আইনে ইছাক মিয়াকে আটক করে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *