abul-Photo-1

ক্রাইম রিপোর্টার,কুড়িগ্রাম ঃ
ভুরুঙ্গামারীতে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর ভাতা গ্রহন। অভিযোগের পরেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হওয়ায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কবে পাবে তার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা সহ সম্মানী ভাতা প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
জানাগেছে,কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার চরভুরুঙ্গামারী গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন ওরফে বিন্দু শেখের পুত্র মোঃ আবুল হোসেন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতের কুচবিহার জেলার ঝাউকুটি মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে ট্রেনিং নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে। তার মুক্তিবার্তা নং ০৩১৬০৪০৬০৯ এবং কল্যাণ ট্রাষ্ট নং৪০৬২১।
এদিকে হতদরিদ্র আবুল হোসেন জীবিকার তাগিদে বাইরে থাকার সুযোগে মুক্তিযোদ্ধাদের ১৬ জুলাই ২০০৭ সম্মানী ভাতা চালু হলে একই গ্রামের মৃত আবু বক্করের স্ত্রী মোছাঃ আম্বিয়া বেগম তার স্বামীর পরিচয় গোপন করে আবুল হোসেনকে মৃত দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে সম্মানী ভাতা উত্তোলন করে আসলে বিষয়টি উক্ত আবুল হোসেন জানতে পেয়ে জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রাম সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে। গত ২৮ জুলাই ২০১৪ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,জে,এম এরশাদ আহসান হাবীব সরেজমিন তদন্ত করে মৃত আকবর আলীর স্ত্রী মোছাঃ আম্বিয়া খাতুনের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা স্থগিত করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনকে ভাতা প্রদানের সুপারিশ করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারনে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন আজও তার সম্মানী ভাতা তুলতে না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ বিষয়ে আবুল হোসেন জানান, কয়েকদফা ইউপি চেয়ারম্যান,উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেলা প্রশাসক তার অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পান এবং উক্ত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনের ভাতা বাতিলের সুপারিশ করে তার ভাতা প্রদানের নির্দেশ সত্বেও তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে রাষ্ট্রীয় সম্মান ও ভাতা থেকে বঞ্চিত । তিনি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তার প্রাপ্য রাষ্ট্রীয় সম্মান এবং ভাতা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *