কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সাত ইউনিয়নে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলীর একক নেতৃত্বে চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে নৌকা মার্কা মনোনয়ন পেতে প্রার্থী বাচাই সম্পুর্ন করেছেন। তবে একই দিনে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকদ্বয়ের উপস্থিতিতে তরিঘরি করে এই বাচাই পর্ব শেষ করে তালিকা চুড়ান্ত করেন। একাধিক তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন এ যাচাই বাচাই গায়ের জোরে করা হয়েছে।
শুধু মাত্র জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলীর পছন্দের লোকদের নাম চুড়ান্ত করে তা কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে পাঠানোর পায়তারা করা হচ্ছে। গত ১২ই অক্টোবর জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় রংপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সফিক রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের বিতর্কিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কিন্তু জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কেন্দ্রীয় নেতার নির্দেশ অমান্য করে রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের বিতর্কিত কমিটি দিয়ে একক ভাবে এক তরফা ইউপি নির্বাচনের নৌকা মার্কার মনোনয়নের জন্য লোক দেখানো মিটিং করে প্রার্থী চুড়ান্ত করেন। কিন্তু বিতর্কিত এই কমিটির সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু উপস্থিত ছিলেন না।
দীর্ঘদিন যারা আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে বিএনপি জামায়াত সরকারের আমলে বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার হয়েছেন তাদের কাউকেই এই বাচাই প্রক্রিয়ায় অংশ করতে দেওয়া হয়নি।

রাজারহাট উপজেলার সাত ইউনিয়নের নৌকা মার্কার প্রার্থী বাচাইয়ের ব্যাপারে রাজারহাটে বিশেষ বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আকবর আলী সরকারকে লাঞ্চিত করার বিষয়ে জানতে চাইলে, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু তিনি বলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলী ভাই আমাকে মিটিংয়ে ডেকেছিলেন আমি তাকে বলেছি রংপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সফিক ভাই রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আমি নেতার নির্দেশ অমান্য করে রাজারহাটের মিটিংয়ে যেতে পারিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *