লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাহারিয়ার খন্দকার সিক্ত নামে এক স্কুল ছাত্রের উপর হামলা ও মারধরের প্রতিবাদে উপজেলার চার স্কুলে পৃথক পৃথক মানববন্ধন করেছে ছাত্র-ছাত্রীরা। সোমবার (৬ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টা থেকে বিদ্যালয়গুলোতে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মারধরের শিকার ওই ছাত্র স্থানীয় কিসামত হারাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র।
অভিযোগ উঠেছে, পাশ্ববর্তি কাজির চওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম খানের হুকুমে ওই স্কুল ছাত্রের উপর হামলা ও মাধরের ঘটনা ঘটে।
মানববন্ধন করেন, কিশামত হারাটি উচ্চ বিদ্যালয়, লোহাখুচি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, হিরামানিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কেশোর ঘাট উচ্চ বিদ্যালয়সহ প্রায় ২ হাজার ছাত্র-ছাত্রী।
মানববন্ধনে ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্কুল ছাত্র সিক্ত’র উপর হামলাকারীরা যদি গ্রেফতারের দাবী জানান।
এদিকে অভিভাবক মন্ডলী অভিযুক্তদের ২৪ ঘন্টা মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুরে কাজির চওড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শেখ কামাল আন্তঃ স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় সাহারিয়ার খন্দকারের সাথে বুড়ির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের দৌড় প্রতিযোগিতা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাজির চওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম খান সাহারিয়ার খন্দকারকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এতে সাহারিয়ার খন্দকার এ ঘটনার প্রতিবাদ করে। এতে ওই শিক্ষক আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলে একাধিক মামলার আসামি জনি খান সহ এলাকার উশৃংখল যুবকদের ডেকে সাহারিয়ার খন্দকারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ধারালো চাকু, লোহার রড ও বাশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি আঘাত করেন। চিৎকার শোনে এলাকাবাসী ছুটে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে।

লালমনিরহাট সদর থানা ওসি এরশাদুল আলম বলেন, ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলাটি রুজু করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন