মোহাম্মদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা সহ সারা দেশের ন্যায় শুরু হয়েছে সিম কার্ড পুনঃনিবন্ধন। যার কারনে মানুষের বিভ্রাšির শেষ নেই, মোবাইল অপরেটর গুলো যেন আয়ের উৎস তৈরী করে দিয়েছে দোকানদার দের। সব কাজ বাদ দিয়ে হরিলুটের মত লেগে পড়ছে সিম কার্ড পুনঃনিবন্ধনে।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম কার্ড পুনঃনিবন্ধনে রিটেইলারা সীমা হীন দুর্নীতি শুরু করেছেন। তারা গ্রাহকদের বাধ্য করে প্রতিটি সিম নিবন্ধনের জন্য ৫ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যÍ আদায় করছেন। এতে কেউ সরকারি নিয়ম নীতির কথা বলে প্রতিবাদ করলে রিটেইলাররা গ্রাহকদের সাথে ঝগড়া-বিবাদে যেন জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়াও প্রতিবাদীদের নামে সিম নিবন্ধনের পুরণকৃত ফরম ছিঁড়ে আগুনে পুড়ে ফেলছে এমন খবর ও পাওয়া গেছে।
দিনাজপুরের ১৩ টি উপজেলা সহ সারা দেশে দেখা যাচ্ছে সিম কার্ড পুনঃনিবন্ধনে টাকা নেয়ার দৃশ্য। সিম কার্ড পুনঃনিবন্ধনে রিটেইলারা সীমা হীন দুর্নীতি শুরু করেছেন। প্রায় চিরিরবন্দরের সব বাজার ঘুরে এসে দেখা যায় বিদ্যুত বিলের মত লাইন দিয়ে টাকা দিয়ে সিম কার্ড পুনঃনিবন্ধন করছে বিপদে পড়া গ্রাহকরা।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার রাণীরবন্দর বাজার ঘুরে প্রায় অর্ধ শতাদিক সিম কার্ড পুনঃনিবন্ধন গ্রাহকের সাথে কথা বললে, তারা বলেন, টাকা না দিয়ে আমাদের এছাড়া কোন উপায় নাই, যারা টাকা দিচ্ছে তাদের টাই আগে করে দিচ্ছে আর টাকা না দিলে কথায় বলছে না।
এদিকে এক স্কুল শিক্ষক মন্তব্য করে বলেন, মোবাইল অপরেটর ও সরকার যদি প্রতিটি ইউনিয়ানের তথ্য সেবায় সিম কার্ড পুনঃনিবন্ধন করার ব্যবস্থা করতেন তাহলে অনেক ছেলে মেয়ে না থাকা বৃদ্ধ লোকের কষ্ট পেতে হতে হত না আর টাকা দিয়ে এত বড় লাইন দাড়াতে হতনা ।
এদিকে রাণীরবন্দরের খাদিজা টেলিকম, মা টেলিকম , মাসুদ ফার্মেসী, ভাই ভাই টেলিকম, ্ দোকানদার দের সাথে কথা বললে তারা বলেন, মোবাইল অপরেটর গুলো যদি আমাদের সিম কার্ড পুনঃনিবন্ধন কমিশন বাড়িয়ে দিত তাহলে মানুষকে এত বিভ্রান্তির স্বীকার হতে হত না।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর জেলার রিইটেইলার অফিসার;মো: মশিউর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সিম নিবন্ধনে টাকা নেয়ার বিষয়টা সরকার এবং কোম্পানীর পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ টাকা নেন তাহলে কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যবস্থা নেবেন বলে ও তিনি জানান।