শফিউল আলম শফি,কুড়িগ্রামঃ
কুড়িগ্রাম জেলা পরিসংখ্যান অফিসের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোঃ এনামুল হক এর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তার নিজের অফিসের কর্মচারী ও কর্মকর্তারা উর্দ্ধতন কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, অর্থনৈতিক শুমারী ২০১৩ এর পুস্তক প্রকাশনা সেমিনারের জন্য বরাদ্দকৃত টাকার অধিকাংশ টাকাই উপস্থিত ব্যক্তিদের ভূয়া স্বাক্ষর দেখিয়ে আত্মসাত করেছেন। এছাড়াও যারা অনুপস্থিত ছিলেন তাদেরকে উপস্থিত দেখিয়ে পুরো টাকা জাল স্বাক্ষর করে তুলে আত্মসাত করেছেন।
জেলার ৯টি উপজেলার কর্মচারী কর্মকর্তাদের দাখিলকৃত ব্যয় বিল যে তাকে উৎকোচ দিয়েছে তাদের ন্যায্য পাওনা কেটে মনগড়াভাবে কাউকে দুই হাজার টাকা, কাউকে ৮ হাজার টাকা দিয়েছেন । আবার ব্যক্তিগত অপছন্দের কারণে অনেক কর্মচারী ও কর্মকর্তার ভ্রমণ ব্যয়ের বরাদ্দকৃত টাকা পাস না করিয়ে বছর শেষে সেই টাকা হেড অফিসে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেসব উপজেলায় ইউএসও নেই সেসব উপজেলায় তিনি নিজে আয়ন -ব্যয়ন দায়িত্ব পালন করেন। সেই সব উপজেলার বেহাল অবস্থার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা এবং জেলা অফিসের খানা ব্যয় সন্দেহ জনক ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি পছন্দের বাইরে অনেককে জেলা অফিসের প্রবেশ না করার হুমকী দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তিনি কথায় কথায় কুড়িগ্রাম জেলার মানুষ বলে কর্মচারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এই কর্মকর্তার সাথে কোন কর্মচারীর সুসম্পর্ক নেই।
একাধিক কর্মচারী স্বাক্ষরিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রংপুর বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম অভিযোগ সমূহ দিনব্যাপী সরেজমিনে তদন্ত করলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে কুড়িগ্রাম জেলা পরিসংখ্যা অফিসের ভুক্ত ভোগী কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা পরিসংখ্যান অফিসের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোঃ এনামুল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসলেই বোঝা যাবে অভিযোগ সত্য না মিথ্যা।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী কর্মচারীরা অবিলম্বে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবী করছেন।