ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
ভুরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থল বন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে সোনাহাট স্থলবন্দর আমদানী রপ্তানী সমবায় সমিতি ও সোনাহাট কাষ্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এ্যাজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন সোনাহাট স্থলবন্দর আমদানী রপ্তানী সমবায় সমিতির সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সোনাহাট কাষ্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এ্যাজেন্টস এ্যাসেসিয়েসনের সভাপতি মোস্তফা জামান, সম্পাদক সরকার রকীব আহমেদ জুয়েল , ভারতীয় ব্যবসায়ী আতাউর রহমান, হায়দার আলী প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন ইমিগ্রেশন না থাকায় ভারত বাংলাদেশের ব্যাবসায়ীদের প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার পথ ঘুরে ব্যবসায়ীক কাজ করতে হচ্ছে । এতে ব্যবসার প্রসার ঘটছে না । ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। ইমিগ্রেশন চালু হলে ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত ৭টি রাজ্যে এবং ভুটানের সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ সহজ হবে। ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে সোনাহাট স্থলবন্দরে দ্রুত ইমিগ্রেশন চালুর দাবী জানান।
জানাযায়, স্থলবন্দরটি ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কয়লা এবং পাথর আমদানীর মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে। দেশের ১৮তম স্থলবন্দরটি ইতিমধ্যে পাথর এবং কয়লা আমদানীতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ভারতের আসাম রাজ্যের সাথে এই স্থল বন্দরটির উভয় দেশের ব্যবসায়দের লালমনিরহাট বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত -বাংলাদেশ করতে হয়। এতে তাদের প্রায় ৪শ ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। যা বেশ ব্যায়বহুল এবং সময় স্বাপেক্ষ। ফলে ব্যবসায়ীক কাজে বিরম্বনা পোহাতে হয় উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের।
এদিকে ভারতের দিক থেকে ইমিগ্রেশনের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে বলে ভারতীয় সূত্র জানিয়েছে। বাংলাদেশের দিক থেকে সাড়া মিললেই খুলে যাবে ইমিগ্রেশনের পথ। ব্যবসায়ীক নেতারা জানান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন বরাবর এ বিষয়ে আবেদন দেয়া আছে।
২০১৬সালে স্থলবন্দরটির অবকাঠামোগত উন্নয়নের অনুমোদন দেয় একনেক। ছয়টি কাজের তিনটি প্যাকেজে বরাদ্দ দেয়া হয় ৩৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ওই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর কাজের উদ্বোধন করেন নৌ ও পরিবহন মন্ত্রি শাহজাহান খান এমপি। ইতিমধ্যে বন্দরের অবকাঠামোর কাজ শেষ প্রান্তে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *