নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অফিসের অফিস সহকারী জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে ওই উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। অভিযোগে জানা যায়, জিল্লুর রহমান নাগেশ^রী ইউএনও অফিসে যোগদানের পর থেকে স্বেচ্ছাচারীতা, ঘুষ, দুর্নীতিসহ সকলপ্রকার অনিয়ম করে আসছে। সে তার নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি বর্তমানে ওএস এর দায়িত্বও পালন করছে। চেয়ারম্যানগণের অভিযোগ তাদের বিভিন্ন কাজের জন্য ওএস এর সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। কিন্তু ওএস (অ.দা) জিল্লুর রহমানের নিকট চেয়ারম্যানগণ কোনো কাজের জন্য সহযোগিতা চাইতে গেলে সে সহযোগিতার বিনিময়ে উৎকোচ দাবি করেন। উৎকোচ দিতে রাজি না হলে নানাভাবে টালবাহানা করে ফাইল আটকে রেখে হয়রানী করেন। এতে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের কল্পিত উন্নয়নে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে দাবি করছেন চেয়ারম্যানগণ। এছাড়াও তার আচার-আচরণ, কথা-বার্তা, কাজ-কর্ম ও ভাব-গাম্ভির্য্য সকলের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে। আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ‘জমি আছে ঘর নাই’ এর আওতায় ঘর নির্মাণের জন্য জিল্লুর রহমান তারনিজের মাধ্যমেই অত্যন্ত নি¤œ মানের শিঁড়ি তৈরী করছে। নিয়মানুসারে যার মাপ হওয়া দরকার ৬/৬ইঞ্চি সেখানে তৈরি করছে ৪/৪ ইঞ্চি মাপের এবং শিড়ির ভিতরে অত্যন্ত নি¤œমানের রড, সিমেন্ট ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছেন যা খুবই ভয়ঙ্কর। ঘর নির্মাণের পর যে কোনো মুহূর্তে ভেঙ্গে যেতে পারে এসব শিঁড়ি । এছাড়াও যাদের নামে এ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণের বরাদ্দ হয়েছে তাদেরকে বরাদ্দের তালিকা থেকে নাম কেটে দেয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছে থেকে ৫ হাজার থেকে ২০হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একাধিকবার মৌখিকভাবে অভিযোগ করলেও কোনো সদুত্তর কিংবা ফল পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। এমতাবস্থায় জিল্লুর রহমানের অবৈধ চাহিদা ও অনৈতিক কার্যকলাপসহ সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। খোঁজ নিনয়ে জনা গেছে বিগত দিনে ওই কর্মচারী ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কর্মরত থকাকালে ইউএনওর সাথে দুর্ব্যবহার করায় বেশকিছুদিন কুড়িগ্রাম জেল-হাজতে ছিলেন এবং চিলমারী অফিসে থাকাকালীন সময়ে ত্রাণের টাকা আত্মসাৎ করার অপরাধে সেখান থেকেও বদলি হয়ে যান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শঙ্কর কুমার বিশ^াস বলেন, যে কেউ যে কোনো কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারেন। আপনিও আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারেন। জিল্লুর সাহেবের বব্যাপারে চেয়ারম্যানরা আমাকে বলেছিলো, তিনি নাকি চেয়ারম্যানদের কথায় পাত্তা দেন না, কথা শোনেন না। এটা তার আচরণগত ব্যাপার। জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভিন বলেন, হ্যাঁ অভিযোগ পেয়েছি, তাতে কী হয়েছে, আর এতে নিউজ করার কী আছে? এখনও কোনো ডিসিশন নেইনি। কী বলব?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *