ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামবাসীকে ঈদ উপহার হিসেবে ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেত’ু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকালে সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবণ থেকে ফুলবাড়ী উপজেলার আছিয়ার বাজার এলাকায় ব্রীজের পূর্ব অংশে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি ব্রীজটি’র উদ্বোধন করেন।
ভিডিও কনফারেন্সে ফুরবাড়িতে উপস্থিত ছিলেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ-এমপি, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত সচিব রইচ উদ্দিন ও অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল আলম, জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন,তত্বাবধায়ক হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম, ডিডিএলজি রফিকুল ইসলাম সেলিম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: জাফর আলী,লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড.মতিয়ার রহমান, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যড.আহসান হাবীব নীলু।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুলবাড়ী উপজেলায় ধরলা নদীর উপর ৯৫০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার মধ্যবর্তী কুলাঘাট নামক স্থানে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন। পরে সেটি একনেকে অনুমোদন হয়। শেখ হাসিনা সেতু নির্মাণে ২০১৪ সলে এলজিইডি সিমপ্লেক্স ও নাভানা কনস্ট্রাকশন গ্রুপের সাথে চুক্তি সম্পাদন করে । এটি নির্মাণে এলজিইডি ১৩ একর জমি অধিগ্রহন করে। নির্মাণে ব্যয় হয় ২০৬ কোটি ৮৫ লাখ ১৯ হাজার টাকা। ৯৫০ মিটার দীর্ঘ এবং ডাবল লেন সেতুর প্রস্থ ৯ দশমিক ৮০ মিটার,ক্যারেজ ওয়ে ৭ দশমিক ৩০ মিটার ও সেতুর উভয় পাশের্^ ১ মিটার চওড়া ফুটপাত রয়েছে। পিসি গার্ডার নির্মিত সেতুটিতে মোট স্প্যান রয়েছে ১৯টি। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার। ১৮টি পিয়ার ও ২৪০টি পাইল রয়েছে সেতুটিতে। নৌ-চলাচলের জন্য নূন্যতম নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স রাখা হয়েছে ৭ দশমিক ৬২ মিটার। রাতে নিরাপদে চলাচলের জন্য সেতুটিতে বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপন করা হয়েছে। ২ হাজার ৯১৯ সংযোগ সড়কের মধ্যে কুড়িগ্রাম প্রান্তে ৮৯২ মিটার এবং লালমনিরহাট জেলা প্রান্তে ২ হাজার ২৭ মিটার। এছাড়াও উভয় জেলায় নদী শাসনের জন্য ফুলবাড়ী অংশে ১ হাজার ২৫৬ মিটার এবং লালমনিরহাট অংশে ২ হাজার ২৩৮ মিটার নদী শাসনের আওতায় আনা হয়েছে। সেতুটি নির্মানের জন্য ১৩ হাজার ৮৫৬ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। এতে ফুলবাড়ী অংশে ১০ হাজার ৫৬৮ একর এবং লালমনিরহাট অংশে ৩ হাজার ৮৮ একর। এই সেতু নির্মাণের ফলে মানুষের জীবনমান উন্নয়নের ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *