বিজয় রায়, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাও) প্রতিনিধি ঃ
উপজেলার নেকমরদ উরশ মেলার র্যাফেল ড্র লটারীর ছুড়ে দেয়া নানা প্রলোভলনের নেশা ফাঁদে ঝুঁকে পড়ছে ছোট কোমলমতি শিশুরা । মাত্র ২০ টাকার টিকিট কিনে লক্ষ টাকার মোটরসাইকেলসহ লোভনীয় অনেক পুরস্কার থাকায় তারা সার্বক্ষনিক র্যাফেল ড্র’র টিকিট কেনার নেশায় থাকে। পুরস্কার পাওয়ার আশায় টিকিট হাতে টিভির পর্দার সামনে জেগে থাকে গভীর রাত পর্যন্ত যতক্ষণ র্যাফেল ড্র শেষ না হয়। অন্যদিকে প্রলোভনের বশবর্তী হয়ে খেটে খাওয়া মানুষগুলো পিছিয়ে নেয় র্যাফেল ড্র’র নেশার ফাঁদ থেকে। আঙ্গুল ফুলে কলার গাছ হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়ছে তারা। মাত্র ২০ টাকায় অনেক টাকার গাড়ি, সাইকেল, টিভি, সহ নানা আকর্ষনীয় পুরস্কারের লোভ সামলাতে পারছেনা তারাও। এদিকে স্বপ্নের বাড়া ভাতে ছাই দিচ্ছেন র্যাফেল ড্রয়ের কতিপয় স্বার্থাম্বেসী ব্যক্তি। তারা মাত্র ২০টাকায় অনেক বড় স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতিদিন ১৩৩টি কুপন বক্সের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। টিকিট ক্রেতারা অনেকে ড্রয়ের মাঠে যেতে না পেরে তারা টিকিট হাতে নিয়ে তাকিয়ে থাকেন টেলিভিশনের পর্দায়। কতক্ষণে বলে উঠবে উঠাও বাচ্চা ন্যাইড়া চ্যাইড়া, মামা মাথায় নষ্ট, গাড়ি পাইয়্যা গেল পানের দোকানদার। টিকিটের কালার টিয়া, সিরিজ চড়ই ইত্যাদি কথাকে ছন্দে ছন্দে বয়ান করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে র্যাফেল ড্র। আর কোমলমতি শিশুরা ড্র শেষ না হওয়া পর্যন্ত পড়ালেখা ঘুম বাদ দিয়ে র্যাফেল ড্রয়ের ফলাফলের জন্য গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকে। এতে অভিভাবকদেরও রেহাই নেয় বাচ্চাদের সাথে তাদেরও জেগে থাকতে হয়। অনেকে পুরস্কার পাওয়ার ফাঁদে পড়ে ঋণ করেও প্রতিদিন ১০,২০,৫০টি করে টিকিট কিনে ক্রমান্বয়ে নিশ্ব হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, ভাই ২০ টাকায় লক্ষ লক্ষ টাকার গাড়ি পাওয়া যায়, কেনা চায় সুযোগ হাতছাড়া করতে। তাই পুরস্কার না পেলেও প্রতিদিন টিকিট কাটি পাওয়ার আশায়। মুক্তা র্যাফেল ড্র’র পরিচালক সুজন বলেন, আমরা ইতিপূর্বে পঞ্চগড়, দিনাজপুর, জয়পুরহাট সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় র্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে কোন ভুকিচুকি ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে লটারি চালিয়ে আসছি। সেই আলোকে এ বছর নেকমরদে কোন অসৎ পন্থা অবলম্বন ছাড়া র্যাফেল ড্র চালিয়ে আসছি। নেকমরদ মেলা কমিটির সভাপতি আলহাজ এনামুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনটি সচল করেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদা এ ব্যাপারে মুঠোফোনে বলেন, আপনারা যা দেখছেন তাই লিখবেন।