ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স (আমুয়া), নলছিটি উপজেলার স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স ডাক্তার স্বল্পতায় রোগীরা পরছে চরম বিপাকে এবং স্বাস্থ্য সেবা চলছে উপসহকারী কমিউনিটি অফিসার দিয়ে। রোগীরা ইউনিয়ন কমিনিউটি হাসাপাতালে চিকৎসা করতে এসে মেডিকেল অফিসার না পেয়ে ছুটে আসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে । সেখানে ডাক্তার না পেয়ে চলে যেতে হয় বরিশাল সেবাচিম হাসাপাতালসহ বে-সরকারী হাসপাতালগুলোতে। সেখানে যেমন যাতায়াত খরচ দ্বিগুন এবং ডাক্তার দেখাতে গিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রোগীদের কাছ থেকে। গত ৩ই ফেব্রুয়ারী আমুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কর্তব্যরত ৪জন ডাক্তারের মধ্যে ১জনকে কর্মরত অবস্থায় পাওয়া যায়। ডা. ছাইয়িদা সুলতানার কাছে জানতে চালইলে তিনি বলেন মেডিকেল অফিসার তাপশ কুমার তালুকদার সে কাঠালিয়া এস এস সি পরীক্ষা চলকালীন ডিউটিরত রয়েছেন । পরে তার মুঠো ফোনে জানতে চালইলে বলেন আমি ভান্ডারিয়া পৈখালী বাজারে আছি বলে জানান। সহকারী মেডিকেল অফিসার (আরমো) ডা. মোঃ কামরুজ্জামান রয়েছেন অফিসিয়াল কাজে, ডা. নিশাদ ছাইয়িদা রয়েছেন মাতৃতকালীন ছুটিতে। তবে আমার একারই সামলাতে হয় রোগীদের। চিকিৎসারত অবস্থায় থাকা রোগীদের দৈনিক খাবারের মেনুর বিষয় জানতে চাইলে, বহির বিভাগে টিকিট বিতরনে রোগীদের সংগ্রহে ৩টাকার বিনিময় ৫/৬ টাকা নেওয়া হয় এবং রোগীদের কোন রশিদ দেওয়া হয় না। এ বিষয় জানতে চাইলে ডা. তাপশ কুমারের বরাত দিয়ে এড়িয়ে যান। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায় কাঠালিয়া স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে সেখানেও উপসহকারী মেডিকেল অফিসার (স্যকমো) পদে রয়েছেন ৩জন, তারা হলে বিবেক চন্দ্র সম্মদ্দার, ১নং পাটিখালঘাটা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স উপসহকারী মেডিকেল অফিসার, মোঃ জাহিদ হাসান, আমুয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান কেন্দ্র, সুকান্ত মল্লিক, ১নং চেচীরামপুর স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স ও পরিবার কেন্দ্রের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার এ ছাড়ারাও হাসপাতালে রয়েছেন ইউনিয়ন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার (স্যকমো) এবং বিভিন্ন বাজারে চেম্বারও খুলে রয়েছেন বলে জানা যায়। তবে আমুয়ার স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সের পার্শবর্তী এলাকার মোঃ নুরু সরদার পিতা মৃত- এনছান আলী জানান, ডা. তাপশ কুমার তালুকদা হাসপাতালে মাঝে মাঝে আসেন, যেদিন আসেন প্রকাশ্যে ২০০/- টাকা হারে রোগীদের কাছ থেকে ফি বাবদ নেয় বলে জানান। নলছিটি উপজেলার স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স এ কর্মরত ২০ জন ডাক্তার থাকার কথা স্বত্বেও সেখানে রয়েছে ১০ জন, বাকী ১০ জন ডাক্তারের শূণ্যতা পূরণ করতে পারছে না ডাক্তাররা। দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মরত সেবিকা শূণ্য রয়েছে ২০ জন, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী শূণ্য রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডা. মানষ কৃষ কুন্ডু । তবে নলছিটি হাসপালের কর্মরত ডা. খন্দকার ইলিয়াস জানান, আমি স্ব উপজেলায় কর্মরত থেকে রোগীদের সেবা করতে চাই বলে আরো জানান আপনাদের সংবাদকর্মীর লিখনীর মাধ্যমে আমাদের ডা. স্বল্পতা কেটে যাবে বলে জনান। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় মেডিকেল সহকারী (স্যকমো পদে) স্থায়ী নিয়োগ পদে রয়েছেন স্বামী ও স্ত্রী। এছাড়াও হাসপাতাল জুরে রয়েছেন আরো ৭ জন মেডিকেল সহকারী (স্যকমো)। এ বিষয় ঝালকাঠি জেলা সিভিল সার্জন শ্যামল কৃষ্ণ হালদারের কাছে জানতে চাইলে, তিনি জনান ইউনিয়ন সহকারী মেডিকেলে বসার সু-ব্যবস্থা না থাকায় ও ডা. স্বল্পতার কারনে উপসহকারী মেডিকেল অফিসাররা কর্মরত রয়েছেন বলে জানান। কাঠালিয়া স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স, নলছিটি স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপসহকারীরা অফিসাররা মেডিকেল ঝুড়ে রয়েছেন, এ বিষয়টি উপপরিচালক (ডিডি) মাহবুর রহমান বলেন যার যার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে কর্মরত থাকবেন বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *