স্টাফ রিপোর্টার
কচাকাটার নায়েকেরহাট মাদরাসার সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতায় ভেঙ্গে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। প্রতিবাদ করায় ভারপ্রাপ্ত সুপারকে অব্যাহতি দিয়ে বিধি ভেঙ্গে নতুন ভারপ্রাপ্ত সুপারকে দায়িত্ব প্রদান।
জানাগেছে কচাকাটা থানার নায়কেরহাট দারুসসুন্নাত দাখিল মাদরাসায় সুপার মাওলানা আব্দুল আউয়াল গত ১ জানুয়ারী-২০১৯ ইং তারিখে এমপিও অনুযায়ী অবসরে যান। সরকারী বিধিমোতাবেক সহকারী সুপার মাওলানা শাহজাহান আলীকে গত ২ জানুয়ারী-২০১৯ ইং তারিখে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসাবে দায়িত্ব পান। এদিকে ভারপ্রাপ্ত সুপার শাহজাহান আলী দায়িত্ব পালন কালে মাদরাসার এনটিআরসি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ২জন শিক্ষিকা,সুপার ও সহকারী সুপার নিয়োগে এনটিআরসির নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ২ পদে ঐ মাদরাসার সভাপতি ও কচাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল সরকার তার নিকট ২ লক্ষ টাকা উৎকোচ দাবীসহ মাদরাসার নামে বরাদ্দকৃত এলজিএসপির ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকার শতকরা ২০ ভাগ কাজ করেই রেজুলেশন ছাড়াই স্বাক্ষর চান।উক্ত ভারপ্রাপ্ত সুপার উৎকোচ ও এলজিএসপির প্রকল্পে স্বাক্ষর না দেয়ায় নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাতে ভারপ্রাপ্ত সুপার শাহজাহান আলীকে সরকারী বিধি ছাড়াই তার বিরুদ্ধে উপবৃত্তির মিথ্যা অভিযোগ ও মাদরাসা ঘরের ছাদ আত্মসাতের অভিযোগে তাকে ঐ পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ঐ মাদরাসার শিক্ষক(আর)একরামুল হককে দায়িত্ব প্রদান করে। এদিকে ঐ মাদরাসা ঘরের ছাদ পিয়ন কবির হোসেন ও নৈশ প্রহরী আমজাদ হোসেন ভারপ্রাপ্ত সুপারের অজান্তে বাড়িতে নিয়ে রান্না ঘরের কাজ করানোর ঘটনাটি সম্পর্কে এলাকাবাসী জানার পর বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তোলে। এদিকে মাদরাসার সভাপতি ও নতুন ভারপ্রাপ্ত সুপারের কার্যক্রমে বিতর্কের সৃষ্টি হলে তারা দুজনেই নিজের দোষ ঢাকতে কিছু ছাত্র/ছাত্রীদের লেলিয়ে দিয়ে শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে মিছিল করায়। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জহুরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,সরকারী বিধিমোতাবেক শাহজাহান আলী ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করছে। তবে কমিটির সভাপতি তাকে না জানিয়েই অব্যাহতি দিয়ে নতুন ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব প্রদান করেছে যা বিধি সম্মত নয়।বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে গত ১৫ এপ্রিল-২০১৯ থেকে স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত সুপার একরামুল হক দায়িত্ব পাওয়ার পর মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে । তিনি দায়িত্ব পাবার পর সকাল ১০টা থেকে বিকাল ২টার মধ্যেই মাদরাসা ছুটি দিয়ে চলে যাওয়ায় অনেক অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েদের অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে । মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার শাহজাহান আলী জানান,সভাপতির অন্যায় আব্দার হিসাবে উৎকোচের টাকা এবং এলজিএসপির কাজে অনিয়মের তদন্তের জন্য অভিযোগ করায় তাকে বিনাকারনে অব্যাহতি দিয়েছে। এ বিষয়ে মাদরাসার সভাপতি আব্দুল আউয়াল সরকারের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,তাকে বিধিমোতাবেক অব্যাহতি দিয়ে একরামুল হককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অনতি বিলম্বে সভাপতি ও নতুন ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন না করলে মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থা ভেস্তে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে এলাকার সুধী মহল মনে করে।