স্টাফ রিপোর্টার :
ভুরুঙ্গামারীতে বন্ধুর মেয়ে অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে
নিজের লালসার শিকার বানিয়েছে আরেক বন্ধু। নিগৃহীত মেয়েটি জানিয়েছে যখন সে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী
তখন বাবার ওই বন্ধু তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে প্রথম ধর্ষণ করে। পরে তিন বছর যাবৎ অসংখ্যবার তাকে মিলনে বাধ্য করেছে সে। বুধবার সকাল ৯টায় মিলনরত অবস্থায় আটকিয়ে ঘটনাটি জনসম্মুখে নিয়ে আসে ওই ধর্ষকেরই স্ত্রী। এদিকে ধর্ষক প্রভাবাশালী হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে একটি মহল।
ঘটনাটি ঘটেছে ভুরুঙ্গামারী উপজলার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বকেদার গ্রামে। ওই গ্রামের আব্দুল
কুদ্দুস প্রধানীর ছেলে দুই সন্তানের জনক মকবুল হোসেন প্রধানী(৪৫)তিন বছর থেকে নিজের লালসার শিকার বানিয়েছে একই গ্রামের বন্ধুর মেয়ে অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী কুসুম (ছদ্দ নাম) (১৪) কে। কুসুম (ছদ্দ নাম) জানায়, বাবার বন্ধু হওয়ায় মকবুল তাদের বাড়িতে যাতায়াত করত এবং প্রতিবেশী হওয়ায় কুসুমও (ছদ্দ নাম) মকবুলের বাড়িতে যাতায়াত করত। যাতায়াতের সূত্রে মকবুলের স্ত্রী মুক্তার সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। সে আরও জানায়, পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় মকবুল এবং তার স্ত্রী মুক্তা বেগমের সাথে নাগেশ্বরী উপজেলার সাপখাওয়া গ্রামে তার (মুক্তার) বাপের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে একটি ঘরে মকবুল এবং কুসুমকে (ছদ্দ নাম) রেখে মকবুলর স্ত্রী মুক্তা বাইরে থেকে ঘরের দরজা আটকিয়ে দিয়ে চলে যায়। সেখানেই মকবুল তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। পরে কান্নাকাটি করলে মকবুল তাকে বিয়ের প্রলোভন দেয় এবং পরে কুড়িগ্রাম নিয়ে গিয়ে তাকে মৌখিক বিয়ে করে। সেই থেকে তিন বছর যখন তখন তাকে ডেকে মিলনে বাধ্য করত মকবুল। বুধবার সকালে তার বাড়ির মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে পার্শ্ববর্তী ভ্যান চালক শামছুলের বাড়িতে ডেকে নিয়ে মিলনে বাধ্য করে মকবুল। এদিকে মকবুলের স্ত্রী মুক্তা এসে তাদেরকে হাতে নাতে আটক করে তাকে মারধর করতে থাকে। পরে একই এলাকার আনছার আলীর ছেলে মিন্টুসহ কয়েকজন গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে। এসময় মকবুল পালিয় যায়। এদিকে মেয়ের এমন কান্ডে লোকলজ্জায় বাড়িতে ঠাই দেয়নি তার পিতা মাতা। পরে গ্রামবাসী স্থানীয় জুরান আলীর বাড়িতে নিয়ে আসে কুসুমকে (ছদ্দ নাম)। সেখান থেকে ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম হায়দার জানান, মেয়েটির বাবা মেয়েটিকে বাড়িতে তোলেননি তাই স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় তার বাড়িতে রাখা হয়েছে।
ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চললেও কোন সুরাহা হয়নি।
কচাকাটা থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার সাথে কথা বলেছি, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।