লালমনিরহাট প্রতিনিধি,
লালমনিরহাট বহুভাষী সার্টলিপি কম্পিউটার কর্মাশিয়াল কলেজ এর তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখছে না। গত ৫ ডিসেম্বর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জি.আর সারোয়ার সরেজমিন তদন্ত করেন। সূত্র জানায়, উক্ত কলেজ প্রতিষ্ঠা করার পর কলেজটি এম.পি.ও ভূক্ত হলে একই কলেজের অধ্যক্ষ এন্তাজুর রহমান প্রতারণা করে রাতারাতি কলেজের নাম পরিবর্তন করেন। বিষয়টি জানার পর কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো: গোলাম ফার“ক জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করে আসছিল। কিন্তু তৎকালীন জামায়াত-জোট সরকারের প্রশাসন তার আবেদনে কোন সাড়া না দিয়ে তখন থেকে অবৈধ ভাবে কলেজের ইনডেক্সে বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি কলেজটির নাম পরিবর্তন করে শেখ শফিউদ্দিন কর্মাস কলেজ নাম দিয়ে তেলিপাড়াস্থ গ্রামে স্থানান্তর করেন। নাম পরিবর্তন ও প্রতিষ্ঠাতা গোলাম ফার“ক যাতে বাড়াবাড়ি করতে না পারে এজন্য তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি অব্যাহত রাখেন। পরে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসিন হওয়ার পর সচেতন মহলের সহায়তায় পুনরায় গত ৩/১১/২০১৯ ইং তারিখে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা গোলাম ফার“ক তার দাবী তোলে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি আবদন করেন। প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক তদন্ত করার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত পূর্বক গত ৩০/১১/২০১৯ ইং তারিখের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপর দায়িত্ব ভার ন্যাস্ত করেন। কিন্তু তদন্ত করার দীর্ঘ দিনেও তদন্ত রিপোর্টটি আলোর মুখ দেখছে না বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী। এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসিল্যান্ট জি.আর সারোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ২/৪ দিনের মধ্যেই রিপোর্ট সংশিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হবে। এদিকে তদন্ত সম্পুর্ন হওয়ার পর থেকে তিনি আজ-কাল করে বেশ কিছুদিন থেকে কালক্ষেপন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, কলেজ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর দীর্ঘ ২৬ বছরেও সংশিষ্ট মন্ত্রণালয় কতর্ৃক কোন প্রকার সরকারী অডিট হয়নি উক্ত কলেজটিতে। প্রতি ৩ বছর পর-পর প্রতিটি এম.পি.ও ভূক্ত প্রতিষ্ঠানে সরকারী অডিট হওয়ার নিয়ম রয়েছে বলে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে। সরকারী অডিট না হওয়ার সুযোগে কলেজের অধ্যক্ষ মো: এন্তাজুর রহমান বিভিন্ন ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে উক্ত অধ্যক্ষের বির“দ্ধে ইতিপূর্বেই ডিবি পুলিশ কতর্ৃক সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। যার মামলা নং ১০ তারিখ : ১০/৯/২০০০ ইং। ইতোমধ্যে অধ্যক্ষ এন্তাজুর রহমান এ ভাবে দূর্নীতি ও আত্মসাতের মাধ্যমে কলেজের লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাট করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত: শহরের গোলাম ফার“ক নামের একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বিগত ১৯৯১ ইং সালে বহুল আলোচিত জেলায় প্রথম সার্বজনীন লালমনি বহুভার্ষী সার্টলিপি কম্পিউটার কমার্শিয়াল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। লালমনিরহাট টি এন্ড টি অফিসের সামনে কলেজটির কার্যক্রম চালুর এক পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে ১৯৯৬ সালে এ্যাফিলিয়েকেশন লাভ করে। পরে একই বছরের মে মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কতর্ৃক উক্ত প্রতিষ্ঠানকে এম.পি.ও ভূক্ত করা হয়। এই কলেজটি এম.পি.ও ভূক্ত হওয়ার পর থেকে কলেজের অধ্যক্ষ এন্তাজুর রহমান ষড়যন্ত্র করে জামাযাত-জোট সরকারের একজন মন্ত্রীর সহযোগিতায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কলেজটির নাম পরিবর্তনসহ প্রতিষ্ঠাতার নাম বাতিল করেন। বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহল বলছেন, এই সার্বজনীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পূর্বের নাম বহালসহ প্রতিষ্ঠাতার দাবী পূরণ করতে সংশিষ্টেেদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উলেখ্য, উক্ত কলেজের অধ্যক্ষের বির“দ্ধে সচেতন নাগরিক ও জেলাবাসীর পক্ষ থেকে পোষ্টার ও লিফলেট বিলি অব্যাহত রয়েছে।