এইচ,এম ইমরান, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে এক ভার্সিটি ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি বাড়ীঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি। নিহত আরাফাত বিশ্বাস কুষ্টিয়া রবিন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামে।
স্থানীয়রা জানায়, শেখপাড়া গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ডিএম কলেজের পাশে জমি কিনে বাড়ী করে। জমির সীমানা নিধার্রণ নিয়ে প্রতিবেশী শহিদ জদ্দার্রের সাথে মঙ্গলবার বিকেলে সাবেক সেনা সদস্য জাহাঙ্গীর ও তার ছেলে আরাফাত বিশ্বাসের বাক বিতন্ডা হয়। এসময় গোলাম জোয়াদ্দার্রের ছেলে উজ্জল, মহিউদ্দিন জোয়াদ্দার্রের ছেলে শহিদ, শফিউদ্দিন জোয়াদ্দার্রের ছেলে আলামিন, রুস্তম জোয়াদ্দার্রের ছেলে রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজন মিলে আরাফাতকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। বাধা দিতে গেলে তার পিতা জাহাঙ্গীরকেও মারধর করে হামলাকারীরা। হামলার শিকার গুরুত্বর আহত আরাফাতকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে গভীর রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মৃত্যু বরণ করে। এ খবরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বুধবার ভোরে হামলাকারীদের বাড়ী ঘর ভাংচুর করে। এছাড়াও যে কলাক্ষেতের সীমানা নিধার্রণ নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে সেই কলাক্ষেত কেটে বিনষ্ট করে দেয়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ও থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানিয়েছেন।