মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ
করোনাভাইরাসের এই কঠিন ঝুঁঁকির মধ্যেও নিরলসভাবে কাজ করছেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পুরো দেশ লকডাউনে ঘরে থাকলেও কৃষকদের সেবা দিতে প্রতিদিন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তারা। করোনা পরবর্তী খাদ্য চাহিদা পূরণ ও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের কৃষকদের দ্বারে দ্বারে ফসল উৎপাদনের আধুনিক প্রযুক্তির যান্ত্রিক পদ্ধতির সরঞ্জাম নিয়ে় উপস্থিত হচ্ছেন তারা।
জানাগেছে ‘বোরো ধান কিনতে কৃষক তালিকা তৈরি, আউশ ধানের প্রণোদনায় কৃষক তালিকা তৈরি, হাওড় এলাকাসহ অন্যন্য জেলায় কৃষি শ্রমিক প্রেরণ,করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কৃষকদের সচেতনতা করাসহ ত্রান বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহন, খামার যান্ত্রিকরণের লক্ষে কম্বাইন হারভেষ্টার বিতরণ,ধানের ব্লাস্ট রোগ দমনসহ অন্যন্য রোগ ও পোকার দমন, কৃষি কার্ড হালনাগাদ, আম, কাঁঠাল, লিচুর ফলনে কৃষককে পরামর্শ দেওয়া, ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসারের দায়িত্ব পালনসহ- করোনা ঝুঁকিতেও এমন আরো কত কিছু করতে দেখা গেছে চিরিরবন্দর উপজেলার কৃষি স্প্রসারন বিভাগের কর্মকর্তাদের।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষি বিভাগের কর্মরতদের বর্তমান পরিস্থিতিতে অফিসে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে কাজ করতে হচ্ছে। লকডাউনের মধ্যেই ধান কেনার জন্য কৃষক তালিকা প্রণয়ন, কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ, কৃত্রিম সংকট যেন সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে নিয়মিত মাঠ পরিদর্শনসহ বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে তাদের সরাসরি মাঠ পর্যায়ে থেকে। তারা আরো জানায়, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তারা জীবনের ঝঁুকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুরক্ষার দিকে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহমুদুল হাসানসহ অন্যন্য কৃষি কর্মকর্তারা সাধারন ছুটির ঘোষানার শুরু থেকেই নিয়মিত অফিস করে যাচ্ছে। এদিকে সাধারণ ছুটিকালীন ১৮টি মন্ত্রণালয়ের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের যেসব অফিস সীমিত পরিসরে খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে এর মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নাম রয়েছে তিন নম্বরে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, করোনাভাইরাস দুর্যোগে ফসলের মাঠে ঝুঁকিপূর্ণভাবে আমরাও সরকারের নির্দেশনা মেনে নিজেদের পেশায় নিয়োজিত আছি। কৃষকের ক্ষেতও যখন করোনার ঝুঁকিতে ঝুঁকিপূর্ণ, এমতাবস্থায় আমরা কৃষকদের দোরগোড়ায় গিয়ে কৃষি সেবা দিয়ে যাচ্ছি। কাজ করতে গিয়ে করোনার ঝুঁকি থাকলেও কৃষকদের কথা ভেবে সাধারন ছুটির মধ্যেও মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি আমরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *