নাগেশ্বরী প্রতিনিধিঃ
এবার কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া চৌদ্দঘুড়ি সীমান্ত থেকে বাংলাদেশীদের ২৩টি গরু ও ৪টি ছাগল ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এসব উদ্ধারে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক করলেও ফেরত দিতে রাজী হয়নি বিএসএফ। উদ্বিগ্ন সীমান্তবাসীরা।
সীমান্তবাসীরা জানায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে চৌদ্দঘুড়ি বালাহাট সীমান্ত এলাকায় অন্যান্য দিনের মত বাংলাদেশ ভু-খন্ডে গরু ও ছাগল বেঁধে রাখা হয়। বিএসএফ সদস্যরা এসে আকর্ষ্মিকভাবে ২৩টি গরু ও ৩টি ছাগল ধরে ভারতে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে বালাহাট গ্রামের মজিবর রহমানের ৯টি, মনছার আলীর ৪টি, জসিম মিয়ার ৩টিসহ ২৩টি গরু ও ইউনুস আলীর ৩টি ছাগল। গরুর মালিক মজিবর রহমান বলেন, প্রতিদিন ওই জায়গায় গরু চড়ানো হয়। কিন্তু মঙ্গলবার হঠাৎ তারা ধরে নিয়ে যায়। বিজিবির চৌদ্দঘুড়ি ক্যাম্পে জানানো হয়েছে। বিজিবি জানিয়েছে গরু ও ছাগলগুলো ঘাস খেতে খেতে ভারতের সীমানা অতিক্রম করলে ভারতের শিয়ালদহ ক্যাম্পের বিএসএফ সেগুলো ধরে নিয়ে যায়। নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হানিফ শুক্রবার দুপুরে জানান, গরু-ছাগল ধরে নিয়ে গেলে স্থানীয় বিওপি ক্যাম্পে জানানোর তিন দিনেও সেগুলো উদ্ধার হয়নি।
এ বিষয়ে চৌদ্দঘুড়ি ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার মজমুল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) সীমান্তের আন্তর্জাতিক ১০৩২ এর ৬ (এস) সীমানা পিলারের কাছে এ বিষয়ে পতাকা বৈঠক করা হয়েছে। তাতে বিএসএফ সেগুলো ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। আজ (শুক্রবার) সকালে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত (বিকেল পৌনে ৩টায়) তারা জবাব দেয়নি।
এ প্রসঙ্গে বিজিবির ৪৫ কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়নের পরিচারক লে. কর্ণেল জাকির হোসেন বলেন, বিএসএফ’র পক্ষ থেকে জানিয়েছে বাংলাদেশীদের গরু ও ছাগল সন্ধ্যার দিকে ভারতের সীমান্ত কাছাকাছি যাওয়ায় তারা আটক করেছে। প্রথম দফা পতাকা বৈঠক করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফা বৈঠকের জন্য তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে। এগুলো ফেরত আনার চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।