এস.এম হোসাইন আছাদ, জামালপুর ॥
জামালপুর স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শেখ ফরিদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে স্টেশন বাজার সংলগ্ন তারা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম মনোহর, সহ-সভাপতি তাজুল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর হোসেন রুবেল, সাবেক সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাবেক কমিটির নেতা ডা. আলম, সদস্য আবেদ আলী ও শেখ ফরিদের স্বজন আতাহার আলী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, প্রায় কয়েক মাস ধরে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ অসুস্থ অবস্থায় বাড়ীতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অসুস্থ শেখ ফরিদের উপর সন্ত্রাসী হামলা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। অপরদিকে একই সময়ে পৌরসভার লাঙ্গলজোড়া শেখ ফরিদের এলাকা থেকে এলাকাবাসীর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে মিছিলটি স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির মানববন্ধনে গিয়ে মিলিত হয়।

উল্লেখ্য, জামালপুর শহরের মৃধাপাড়া এলাকার বাসিন্দা স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শেখ ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। জানা যায়- গত রবিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে মৃধাপাড়া মসজিদে আছর নামাজ পড়েন তিনি। নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মৃধাপাড়া এলাকায় মজিবর রহমানের ছেলে মো. লিটন, মতু মিয়ার ছেলে মো. শরিফ ও রুনুর ছেলে মো. সিহাবসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও কয়েকজন প্রথমে শেখ ফরিদের সাথে অসদাচরণ করেন। এ সময় ওই যুবকদের কয়েকজন শেখ ফরিদের গালে থাপ্পর মারেন। শেখ ফরিদ এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয় তারা। পরে মসজিদে আসা মুসুল্লিরা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। এতেও ক্ষান্ত হয়নি ওই যুবকরা। কিছুক্ষণ পর তারা শেখ ফরিদের বাসায় গিয়ে শেখ ফরিদের ওপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা করে। হামলায় শেখ ফরিদের মাথা ফেঁটে যায়। শেখ ফরিদের স্ত্রী মর্জিনা বেগম হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে তাদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা দ্রুত সেখান থেকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত শেখ ফরিদকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *