কবিঃ রফিকুল হায়দার
রাত্রি এখন ঘুমায় নিত্য রোদে পোড়ানো, বৃষ্টি ভেজানো
আধা পোড়া বুকটাতে শুয়ে কামাড়ের হাতুড়ি পেটাতে
কখনো বা ডান কখনো বা বাম কখনো বা ঠেঁটের কিনারা ছুঁয়ে
চালায় তার হাতুড়ির দম মেপে মেপে অভিজ্ঞ প্রানীবিদ হতে
আহা! স্বপ্নরা সারারাত পাহাড়ায় থেকে জড়িয়ে ধরে শব্দহীন রাত্রিকে
হাতে বেড়ি পরানোর ভয়ে রাত্রিও ছুঁয়ে দেখে কামাড়ের হাতুড়ি
চোখে মুখে ফুটে উঠে কামাতুর দেহে ভালোলাগার সলজ্জ সুখ
কি পোড়ায়ে, কি বানাবে, কি হবে তা দিয়ে পোড়া এ দেহকে খুঁড়ে
চিৎকারে রাত্রি উঠে বসে দেবীর আসনে প্রলয় নৃত্য সাজে
অমাবস্যা তখনো ছাড়েনি রাত্রির বুক থেকে, তখনো হাতুড়ি
দুমদাম পিটিয়ে যায় ধারালো পৃথিবী বানাতে
প্রানীবিদরা ঝুঁকে পড়েন আপন খেয়ালে নতুনের আগমনী ধ্যানে
হায়রে অবুঝ দিন কাঁপানো রাত্রি, তোমার মাঝে এতই সুখ!
তুমি না এলে দিনের বুকে জোয়ার ভাটা হতোনা কখনোই
ঢুকতোনা মশাও মসারি ছিঁড়ে তোমার রুপ লাবন্য দেখতে
এ আনন্দ শুধু রাত্রি আর দিনের নয়, এ আনন্দ যে তারই।