নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের কচাকাটায় পূর্বশত্রুতার জেরে বসত বাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ আগুনে পুড়ে গেছে দুটি ঘর,গবাদীপশুসহ নগদ টাকা। এ ঘটনাটি ঘটে রবিবার (৫ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদার গ্রামে। সোমবার (৬ডিসেম্বর) সকালে এ বিষয়ে কচাকাটা থানায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ করেন পুড়ে যাওয়া বাড়ির মালিক বদিউজ্জামান বদি।
স্থানীয় সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল গণী, আলামিন মিয়া জানান, বাহের কেদার গ্রামের মৃত্যু গোলাম হোসেনের ছেলে বদিউজ্জামানের সাথে একই গ্রামের মৃত্যু জনু শেখের ছেলে শুকুর আলীর জমির সীমানা নিয়ে ৪ ডিসেম্বর শনিবার দ্বন্দের সৃষ্টি হয়। ওই দিন উভয়ের মাঝে মারপিটের ঘটনা ঘটে। মারপিটের ঘটনাটি নিরসনে রবিবার (৫ডিসেম্বর) রাত আটটায় স্থানীয় সাইদুলের বাড়িতে মিমাংসার জন্য শালিসে বসেন স্থানীয়রা। বিচারিক কাজ চলার সময় বদির বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় গ্রামবাসী এবং শালিসে উপস্থিত লোকজন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
বদিউজ্জামান জনান, আগুনে দুটি ঘর, একটি গরু, তিনটি ভেড়া, নগদ ২লাখ ৭৫হাজার টাকাসহ সাড়ে ৫লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তিনজনকে প্রধান ও অজ্ঞাত আরোও কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে কচাকাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। অভিযুক্ত তিনজন হলেন বাহের কেদার গ্রামের শুকুর আলী, তার ছেলে রবিউল ইসলাম ও মৃত্যু আবুসামার ছেলে কোরবান আলী।
অভিযুক্তদের একজন রবিউল ইসলাম বলেন, জমির সীমান নিয়ে বদিউজ্জামানের সাথের আমাদের দ্বন্দ ছিলো। সে দ্বন্দ মিমাংসার জন্য শালিস চলছিলো। এসময় তার বাড়িতে আগুন লাগে। আমরাতো সবাই শালিসেই উপস্থিত ছিলাম। আমাদের বিরুদ্ধে বাড়িতে আগুন দেয়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন তিনি।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ জাহেদুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্ধ্যায় নাগেশ্বরী উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে চাল ও কম্বল বিতরণ করেন।