ফারহানা আক্তার, জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটে একজন নারী (১৭) নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আলমগীর জাহান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাটের সদর উপজেলার খঞ্জনপুর উত্তরপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলমের স্বামী পরিত্যক্ত মেয়ে তিশা খাতুন (১৭) তার বাবার বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ করে গাযে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই ওই নারী মারা যায়।
জয়পুরহাট থানার একেএম আলমগীর জাহান জানান, তিশা খাতুন প্রেমের সম্পর্ক করে এক ছেলের সাথে বিয়ে হয়। আড়াই মাস আগে স্বামী তালাক দিলে বাবার বাড়িতে থাকতো। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাবার বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ করে নিজের গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হলে রাতেই সেখানে ওই নারী মারা যায়। এ ঘটনায় শুক্রবার বগুড়া সদর থানায় একটি ইউডি (অস্বাভাবিক মৃত্যু) মামলা হয়েছে।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুরে শেফা মোসা. শাহিনা সরকার মুঠোফোনে জানান, শরীরে আগুনে পুড়ে দগ্ধ নারী তিশা খাতুনের শরীরে ৯০ শতাংশ বার্ণ ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১০টায় সে মারা যায়।