কবি – আঃ সালাম।
তোমাকে মনে পড়লে আমি
সেই সোনালীদিন শ্যামল শস্য খেত
হাসি আনন্দ ভরা প্রতিটিক্ষণ অনুভব করি।
অনুভব করি আঘ্রানের
জ্যোসনা প্লাবিত রাত
হাত ধরে সোনালী ধানের খেত
পেরিয়ে নরম ঘাসের উপর বসে
কিছু সময় নীল আকাশের নীলে নীলে
হারিয়ে যাওয়া,
কালো মেঘের অন্ধকারে হারিয়ে গিয়ে
রূপালি চাঁদের প্রতিক্ষায়
রাত্রির কিনারে দাঁড়িয়ে পৌষের শিশির স্নাত
আস্থির পাখির ডানা ঝাপটানো দেখা।
আজ অনেক দিন কেটে গেল !
কত যে কাল দেখি না
ফাল্গুনের জ্যোসনা ভরা রাত,
হরিণ কাজল চোখ
রূপালি চাঁদের আলো
প্রথম ভোরের শিশিরে
স্বর্ণলতায় রোদের ঝলকানি।
আমাকে বড়ো কাঁদায়
সেই অতীত দিনগুলি,
দুপুর রোদে পতঙ্গের পিছে পিছে
কত যে সময় করেছি পার
ভাবলে ক্লান্তি নেমে আসে !
বুকটা ধড়পড় করে উঠে
হাজার বছরের এ প্রতিক্ষা হবে কি এর শেষ,
নাকি রয়ে যাবে শুধুই অনুভবে?
আজ শুধাতে চাই তোমায় !
মনে পড়ে কি সেই তারা ভরা
ঝিঁঝি ডাকা রাত?
তোমার হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে
নিস্য হতে চেয়েছিলে
আজ সেই আকাঙ্ক্ষা
বিকেলের শেষ সিন্দুর আঁধারে
কেমনে ভরিল সহসা?
অনন্ত কঠিন পথ চলার ব্রত
অথচ শেষ হল না একটি রজনী।
চারিদিক কুয়াশার চাদরে বেষ্টিত
শিশির সিক্ত পথ
চুপি চুপি সন্ধ্যার বাতাসে হিজলতলায়
বসা হয়নি কতে যে কাল।
প্রেম প্রেম খেলা শুধু নিস্তব্ধতায়
নির্জনে গভীর বেদনায় নিজেকে
চিতায় পুড়িয়ে শেষ করা।
একা একা আমি রাতের আঁধারে কত যে
ব্যস্ত শহর পাড়ি দি,
মনে হয় তুমি আছো
আমার প্রতিটি বেদনা ভরা নিশ্বাসে
আছো প্রকৃতির মাঝে নরম ঘাসের ডগায়
ভোরের শিশির হয়ে শুধু অনুভবে।।