কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা পূর্ব পাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ কমিটির সভাপতি ও কমিটির স্বাক্ষর জাল করে ৩ জন শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও দাতা সদস্য মজিবর রহমান।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বজরা পূর্বপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক পদে নিয়ােগ পরীক্ষায় তৎকালীন প্রার্থী ও বর্তমান কৃষি শিক্ষক মােঃ মাইদুল ইসলাম ডিজির প্রতিনিধির সঙ্গে গােপন চুক্তি করে নিয়ােগ পরীক্ষার ফলাফলে প্রথম হওয়ায় অভিযোগ এনে পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের জন্য প্রধান শিক্ষক আদালতে মামলা করেন। মামলা চলাকালীন অবস্থায় তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর গত ১৪/১২/২০১৫ ইং তারিখে শিক্ষা মন্ত্রনালয় প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক নিয়োগ ক্ষমতা বন্ধ ঘােষণা করে। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার সুযোগে প্রধান শিক্ষক মােঃ জাহাঙ্গীর আলম ম্যানেজিং কমিটির তৎকালীন সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যগণের স্বাক্ষর জালিয়াতি ও সরকারি বিধি
নিষেধ অমান্য করে ম্যানেজিং কমিটিকে ফাঁকি দিয়ে আরও দুইজন শিক্ষকসহ মােট তিনজন শিক্ষককে নিয়ােগ দেন। প্রধান শিক্ষক ভুয়া নিয়োগপত্র, যােগদানপত্রসহ ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করে ব্যানবেইস পাঠিয়ে ওই তিন শিক্ষকের মধ্যে দুই শিক্ষকের বেতন বিল পাস করে আনেন। নিয়োগ পাওয়া তিন শিক্ষক হলেন কৃষি শিক্ষক মোঃ মাইদুল ইসলাম, ইনডেক্স নং-
১১৩৬৭৫০ ২),বিজ্ঞান শিক্ষক মােঃ সাদ্দাম বাদশা (ইনডেক্স নং- ৫৬৭৯৮৮৮৮ ৩) ইসলাম ধর্মের শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম। তাদের মধ্যে শিক্ষক সাইফুল ইসলাম এখনও এমপিও ভুক্ত হননি।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নিয়োগ সরকারি বিধি মোতাবেক হয়েছে এবং তারা এমপিও ভুক্ত হয়েছেন। তাছাড়া শিক্ষক সাইফুল (ইসলাম ধর্ম শিক্ষক) আমার নিয়োগের পূর্বে নিয়োগ পেয়েছেন।’
ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ কাগজপত্রে কোনও জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়নি। তদন্ত হলে আমি সবকিছু উপস্থাপন করবো।’
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার (ডিইও) শামছুল আলম বলেন, আমি বিষয়টি তদন্ত করে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।