কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আসন্ন এসএসসি পরিক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।উপজেলার অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরিক্ষার ফী আদায়ে বোর্ডের কোন নিয়ম নীতি কোন তোয়াক্কা করছে না বলে শিক্ষার্থী-অভিভাবকের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।অতিরিক্ত ফি আদায় নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক
মহলে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানাগেছে,মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত বোর্ড ফি এবং কেন্দ্র ফিস মিলে ফরম পূরণের জন্য বিজ্ঞান বিভাগে-১৬১৫ টাকা,ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে-১৪৯৫ টাকা ও মানবিক বিভাগে-১৪৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও স্কুল গুলোতে শিক্ষার্থীদের নিকট হতে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন বলে অভিভাবক জানিয়েছেন।বোর্ড কর্তৃক নিধারিত ফিস অপেক্ষা অতিরিক্ত ফিস আদায় করায় ফরম পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেক অভিভাবকরা ।আবার অনেকেই ছেলে মেয়ের ভবিষ্যত শিক্ষা জীবন চিন্তায় ধার-দেনা করে অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন অভিভাবকরা অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে বিজ্ঞান,ব্যবসায় শিক্ষা,মানবিক ও ভকেশনালসহ বিভিন্ন বিভাগে ফরম পুরণ করতে আসা একাধিক অভিভাবকের সাথে কথা হলে তারা জানান,স্কুল থেকে বোর্ডের নির্ধারিত ফিসের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে।এতে আমাদের ব্যাপক সমস্যার সম্মূখিন হতে হচ্ছে। উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের গুড়াতিপাড়া এলাকার মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রীজাহানারা বেগম অন্যের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে মেয়ে জান্নাতি খাতুনকে লেখা-পড়া করান।
জান্নাতী খাতুন থানাহাট পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। মেয়ের ফরম পূরণে স্কুল কর্তৃক ধার্যকৃত ফিস জোগার করতে না
পেরে জান্নাতির ফুফা কায়ছার আলী মন্ডলের দারস্থ হন। কায়ছার আলী মন্ডল(৫০)জানান,তিনি ১হাজার ৫শত টাকা নিয়ে তিনদিন ঘুরলেও তার ফরম পূরণ হয়নি।অবশেষে বাধ্য হয়ে তিনি ২২শ টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করেছেন বলে জানান।তিনি আরও জানান,জান্নাতি ৯ম-১০ম শ্রেণীতে উপবৃত্তি পেয়েছিল।

এবিষয়ে থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তৈয়ব আলী বলেন, আমরা অতিরিক্ত ফি নিচ্ছি না।ফরম পুরণ বাবদ ১ হাজার ৮শ টাকা এবং অন্যান্য ফি বাবদ ৪শ টাকা করে নিতেছি।এতে বেশির কি আছে। উপজেলা আ’লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম লিচু বলেন,করোনা কালিন সময়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরও শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বেতন নেয়ার বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়।এই দুর্যোগ কালিন সময়ে এসএসসি ফরম পূরণে গরীব শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ না নিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তাহের আলী জানান,আসলে বোর্ড থেকে আমাদের ফরম পুরণের চিঠি দেয়া হয় না। কিন্তু আমি যতটুকু জাননি তাতে এত বেশি নেয়ার কথা নয়।তবে যাদের উপবৃত্তি আছে তাদের বেতন দিতে হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *