ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
ভুরুঙ্গামারীতে রাতের আধারে এক শিক্ষকের জমি দখলের চেষ্টা। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘর সরিয়ে নিল দখলকারীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা গ্রামে। এলাকাবাসী জানায় উক্ত গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নজির হোসেন একই গ্রামের মৃত ফতু শেখের পুত্র মৃত কাশেম আলী, হাশেম আলী,খয়বর আলী ও কছির উদ্দিনের নিকট থেকে ৪৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে প্রায় ৪০/৪২ বছর থেকে ভোগদখল করে আসলেও উক্ত জমি বিক্রেতারা গত ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে তারা কখনও জমি বিক্রি করে নাই অজুহাত দেখিয়ে ঐ জমি দখলের জন্য বিভিন্ন পায়তারা চালায়। কয়েকদফা গ্রাম্য বিচার শালিসে খয়বর আলীগংরা হেরে গেলেও কুড়িগ্রাম আদালতে মামলা করে। এদিকে আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্বেও উক্ত খয়বর আলী গং ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গত ৬ নভেম্বর রাত আনুমানিক ২টার সময় নারীপুরুষসহ ২০/২৫ জনের সংঘবদ্ধ দল লাঠি,সোঠা,দা,কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জমিতে প্রবেশ করে গাছপালা রোপন ও ঘর তুলতে থাকে। এদিকে নজির হোসেন ও তার বাড়ির লোকজন বাঁধা দিতে গেলে তারা আক্রমন করার জন্য এগিয়ে আসলে জমির মালিক পক্ষ দ্রুত সটকে পড়ে ভুরুঙ্গামারী থানায় সংবাদ দেয়। পুলিশ সংবাদ পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে গেলে খয়বর আলী গংরা ঘর তোলা বাদ দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে শিক্ষক নজির হোসেনের পুত্র আরিফুর রহমান রঞ্জু জমি দখলকারী খয়বর আলীসহ ২৪ জনের নামে ভুরুঙ্গামারী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী থানার এসআই জালাল উদ্দিন জানান, উভয় পক্ষের সংঘাত এড়াতে জমিতে গাছপালা রোপন ও ঘর তুলতে নিষেধ করা হয়েছে। আদালতের রায়ের পুর্বে কেউ আইন অমান্য করে জমিতে প্রবেশের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরদিকে খয়বর আলী গং আদালত পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে আবারও জমিতে কিছু গাছপালা রোপন করেছে এবং দখলের পায়তারা করছে। জরুরী ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী জানান। ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির জানান,যেহেতু আদালতে মামলা চলমান রয়েছে সেহেতু আদালতের রায়ের পর পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহন করা হবে।