মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও পুজা মন্ডপ থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকটি সিএনজি যাত্রীদের গণছিনতাই করেছে ছিনতাইকারীরা।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও ছিনতাইকারীদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত নৌকা ফেলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে গেছে।ছিনতাইয়ের শিকার সিএনজি ড্রাইভার সিবলু মিয়া(২৮),পিতা আব্দুল নুর,গ্রাম ফতেপুর প্রতিবেদককে জানান,সোমবার(১০ অক্টোবর) রাত দেড়টায় তিনি পাঁচগাঁও পুজা মন্ডপ থেকে মোকামবাজারের ব্যবসায়ী মুক্তার মিয়া সহ ২ জন যাত্রীকে নিয়ে মোকামবাজারের দিকে আসার পথে বেতাহুঞ্জা(বুরবুড়ির পুল)পার হয়ে সামান্য সামনে ভাংগা রাস্তায় আসামাত্র কয়েকজন ছিনতাইকারী দাঁ ও রামদা নিয়ে আকস্মিক তার গাড়ী ভাংচুর করে আতংক সৃষ্টি করে।এসময় ছিনতাইকারীরা তার পকেটে থাকা টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করলে সে বাঁধা দেয়।পরে ছিনতাইকারীরা তাকে মারধর শুরু করে।প্রানভয়ে তিনি তার মোবাইল,টাকা-পয়সা ছিনতাইকারীদের হাতে তুলে দেন।তিনি জানান,ছিনতাইকারীরা ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল ছিল।তার মধ্যে ২ জন ছিনতাইকারীকে তিনি চিনতে পেরেছেন।এরা হল,রাজন মিয়া (৩৫) পিতা বীর ছত্তার,গ্রাম শাহবাজপুর এবং অপরজন হল ফতেপুর গ্রামের আহাদ মিয়ার পুত্র সাহেদ মিয়া(২৬)।
সিএনজি যাত্রী মোকামবাজারের ব্যবসায়ী মুক্তার মিয়া জানান,তার কাছ থেকে নগদ ৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা।মঙ্গলবার সকালবেলা মোকামবাজার সিএনজি ষ্টেশনের ম্যানজার আহমদ আলী জানান,সিবলু মিয়ার গাড়ী ছিনতাইয়ের আগে ছিনতাইকারীরা আরও ৩ টি সিএনজি ছিনতাই করেছে বলে তাদের কাছে অভিযোগ এসেছে।রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শ্যামল বণিক জানান,এ ব্যাপারে কেউ থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি,লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।একটি সুত্র জানায়,ছিনতাইকারী রাজন মিয়া একটি গণধর্ষন মামলায় কয়েকবছর কারাগারে ছিলেন।