রাণীশংকৈল প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার মুনিষগাও গ্রামের শিশু আব্দুল রাফি তুষার(৩) হত্যার ১ মাসেও গ্রেফতার হয়নি হত্যার প্রধান পরিকল্পনাকারী আবু সুফিয়ান সাজু। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ফজলু বলছেন সাজুকে গ্রেফতারের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া অব্যহত রয়েছে।
গত এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে এ হত্যা কান্ড ঘটানো হয়। হত্যাকান্ডের ২দিন আগে ২৬ এপ্রিল শিশু তুষার নিঁখোজ হয়। তুষার নিঁখোজের আগেই তার নানীর মোবাইল চুরি হয়ে যায়। আর সেই মোবাইল থেকেই তুষারের বাবা মাসুদ রানার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার সাথে সাথে ফোন বন্ধ করে দেয় ঘাতক চক্র।
পরবর্তী ফোন দিয়ে তুষারের বাবাকে জানায় তার ছোট ভাই তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে বলেই ফোন আবার কেটে দেন। তুষারের বাবা মাসুদ রানার ছোট ভাই সবুজের সাথে ১লা বৈশাখ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী সারোয়ার হোসেন সেতু(১৮)মঞ্জুর এলাহী রিপন, সামিউল আলম শান্তর সাথে কথাকাটি হয়।
এরই সুত্রে ধরে তুষারের বাবা এই তিনজনের বিরুদ্বে অপহরনে সন্দেহজনকভাবে জড়িত হিসেবে একটি লিখিত অভিযোগ দেন রাণীশংকৈল থানায়। এরপরে ২৮ এপ্রিল রহস্যজনক ভাবে প্রতিবেশী সিরাজুল মাষ্টার বাসার খড়ের গাদা থেকে শিশু তুষারের গলা কাটা লাশ বের হয়।
এ হত্যা কান্ডকে কেন্দ্র করে পুলিশ সন্দেহ জনক আসামী হিসেবে নিঁখোজের পরেই অভিযুক্ত ৩জন এবং লাশ উদ্বারকৃত বাড়ির মালিক সিরাজুল মাষ্টার,তার দুই ছেলের মধ্যে আল মোস্তাকিম রাজু, রাজুর স্ত্রী রওশনারা, শান্তর বাবা মা আব্দুল মজিদ,সুলতানা বেগম বোন সুমিসহ মোট ৯জনকে গ্রেফতার করে। তবে সিরাজুল মাষ্টারের অপর ছেলে লাশ উদ্বারের সময়ে কৌশলে আবু সুফিয়ান সাজু পালিয়ে যাই বাড়ি থেকে ।
পরবর্তীতে ঠাকুরগাও পুলিশ সুপার ফারহাত আহম্মেদ নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার পরিকল্পনাকারী এবং মুল কারন অবহিত করেন। সেখানে তিনি বলেন আবু সুফিয়ান সাজুর প্রেম ঘটিত কারনে বিপুল অর্থের প্রয়োজনের তাগিদেই সেতু,শান্ত,রিপনকে দিয়ে পরিকল্পনা করে শিশু তুষারকে অপহরন করিয়েছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে সেতু স্বীকার করেছে। এবং চেতানাশক ওষুধ খাইয়ে সাজুসহ ওরা ৩ জন এই হত্যা কান্ড ঘটায় বলে স্বীকার করেন সেতু । অন্যদিকে সাজুর সেই প্রেমিকাকে চিহ্নিত করে ঠাকুরগাও সদরের বাসিন্দা আসমাকেও সন্দেহ জনক আসামী হিসেবে গ্রেফতার করেন পুলিশ।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ফজলুর করিম বলেন, ইতোমধ্যে সাজুর প্রেমিকা আসমাকে তিন দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এবং সাজুকে গ্রেফতারের জন্য সকল ধরনের প্রক্রিয়া অব্যহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মান্নান জানান, সাজুকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। তাকে গ্রেফতারের ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *