ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
নানা প্রতিকুলতার মধ্যে দরিদ্রতাকে জয় করে চলতি বছর ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বলদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মোঃ সামিউল ইসলাম সুমন জিপিএ-৫( গোল্ডেন এ+) পেয়েআধার ঘর আলোকিত করেছে সামিউলের রোল নং ১৮৯৮৩৯। পরিবারে অভাব অনটন নিত্যদিনের সঙ্গী। এর পরেও শত প্রতিকুলতা বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারেনি তাদের মেধা বিকাশে। সামিউল পিএসসি ও জে,এস,সি পরীক্ষাতেও জিপিএ ৫ পেয়েছিল। সামিউল ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়। কিন্তু এ স্বপ্ন পুরনের মাঝে দেয়াল দরিদ্রতা। প্রতিটি সন্তানের জন্মের পর পিতার ¯েœহ পাবার অধিকার থাকলেও সামিউলের জন্মের পুর্বে তার পিতা ইসমাইল হোসেন ২০০০ সালের ২৯ নভেম্বর নিজ বাড়িতে দুস্কৃতিদের হাতে নিহত হওয়ায় তার ভাগ্যে জোটেনি পিতার ¯েœহ। স্বামী নিহতের পর তার মা সুফিয়া বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানে জন্ম হয় এই মেধাবী সামিউল ইসলাম সুমনের । মা সুফিয়া বেগম গৃহিনী। ২ভাই ২ বোনের মধ্যে সামিউল ইসলাম সুমন ছোট। বড় ভাই সুজন ইসলাম বগুড়া আজিজুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। সামিউলের পিতার জমাজমি না থাকার কারনে তারা বর্তমানেও নানার বাড়িতে আশ্রিত। সামিউলের এই অসামান্য সাফল্য অভিভাবকদের মনে শংকার পাহাড়। দুচোখে অন্ধকার তার পরেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার দুর্বার সাহস নিয়ে সকলের কাছে সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেছে সামিউল ইসলাম সুমন। সামিউল ইসলাম সুমন তার এই অসামান্য সাফল্যের পিছনে তার মা ও বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকবৃন্দের নিকট চীর কৃতজ্ঞ।