ডেস্ক রিপোর্ট
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সরকার আগামী মার্চ থেকে অতি দরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা করে কেজি দরে চাল দেবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এভাবে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।এতে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী মার্চ থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে আবার চাল বিক্রি চালু করবে সরকার। অতি দরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা করে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এই কর্মসূচির জন্য বছরে ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল দরকার হবে।
তিনি বলেন, ‘এবারের আমন মৌসুমে ৬ লাখ মে.টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ইতোমধ্যে ৫ লাখ ৪০ হাজার মে.টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকিটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা হবে।’ বর্তমানে সরকারের খাদ্যশস্য মজুদ আছে ১৪ লাখ ২০ হাজার মে.টন। এর মধ্যে চালের পরিমাণ ১০ লাখ ৪০ হাজার মে.টন, বাকিটা গম।
২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য একটি কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এরই নাম ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’। এই কর্মসূচির স্লোগান হলো— ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ।’
মন্ত্রী জানান, এই কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে ১০ টাকা করে (প্রতি কেজি) প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণ করা হয়। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল এই পাঁচ মাস চাল বিতরণ করা হয়। তার কথায়, ‘এই কর্মসূচির জন্য বছরে সাড়ে ৭ লাখ মে.টন চাল প্রয়োজন।’
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্য সচিব শাহবুদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘সবার সহযোগিতায় আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সফলভাবে অর্জন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫ লাখ ৪০ হাজার মে.টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকিটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাওয়া যাবে।’
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মিডিয়ার দায়িত্বশীল ভূমিকা আর সহযোগিতা চেয়েছেন খাদ্য সচিব।
খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বদরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার সুমন মেহেদী এবং খাদ্য অধিদফতর ও মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তারা। –