– নুরে আলম মুকতা

” আউজুবিল্লাহি মিনাস শায়তানির রাজিম
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম ”

প্রিয় বন্ধু,
আসসালামু আলাইকুম ।
আশা করি সবাই ভালো আছেন । আজ শুক্রবার সামান্য হলেও মহাগ্রন্থ আলকুরআন একটু আলোচনা করি ।

আমি মহাগ্রন্থের বিজ্ঞানময় ও ঐতিহাসিক আলোচনা খুবই পছন্দ করি । কিন্তু ভাষা জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারনে অসহায় হয়ে যাই । আগে আফসোস করতাম বই অভাবের কারনে ।

পৈতৃক সূত্রে কিছু বই পেয়েছিলাম কিন্তু ওগুলো ভাষাগত কারণে কাজে লাগাতে পারিনি। আব্বা বহুভাষাবিদ ছিলেন বলে সুবিধা ছিল। আমার ত ঐ সুবিধা নেই ।

আলহামদুলিল্লাহ ।
আল্লাহ যা দিয়েছেন তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকি এবং এ সীমাবদ্ধতার মধ্যেই চেষ্টা চালিয়ে যাই প্রিয় বন্ধু । আমি করজোড়ে মিনতি করব সকল বন্ধুদের আফসোস করবেন, ।

কিন্তু হতাশ হবেন না প্লিজ।
আমরা মনে রাখি সর্বোচ্চ প্রতিকুলতার মধ্যেও আমাদের নামাজ কায়েম করতে হবে এবং মহাগ্রন্থ আলকুরআন পড়তে হবে।
বোঝার চেষ্টা করতে হবে এতে বিশ্বমানবতার মুক্তির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কি বার্তা দিয়েছেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর মাধ্যমে জিব্রাঈল আঃ মারফত ।

চলুন আলোচনা শুরু করি , দয়া করে ত্রুটি বিচ্যুতি ক্ষমা করবেন ।

আমরা জানি মহাগ্রন্থ আল কুরআনের শুরু হয়েছে মহিমান্বিত প্রার্থনা সূরা ফাতিহা দিয়ে আর শেষ হয়েছে প্রার্থনা দিয়ে।

কুরআনের প্রথম আয়াত অবতীর্ণ হয় ৬০৯ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর যখন মুহাম্মাদ সাঃ এর বয়স ৪০ বছর এবং অবতরণ শেষ হয় মুহাম্মাদ সাঃ এর তিরোধানের বছর অর্থাৎ ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ।

আপনাকে প্রথমেই কল্পনা করতে হবে তখন সারা বিশ্বের সভ্যতা তখন কেমন ছিল ।

এখানে অনুমান নির্ভরতা একদম বাদ দিতে হবে কারণ ইতিহাস আছে। আমরা যদি ইউরোপকে সভ্যতার মুল কেন্দ্র ধরে এগিয়ে যাই । তবে রোম সাম্রাজ্য যা মহাগ্রন্থে আল কুরআনে রুম নামে অভিহিত করা হয়েছে। পরবর্তীকালে কনস্টান্টিনোপল এবং ১৫০০ সালের দিকে ওসমানীয়দের ইউরোপ বিজয় এবং কনস্টান্টিনোপল নাম পাল্টে ইসলামবুল বা ইস্তাম্বুল পর্যন্ত আসতে হবে ।

সে যাই হোক কুরআন অবতীর্ণের মুল সময়টুকু ইউরোপীয় সভ্যতার মধ্যযুগ হিসেবে গবেষকগন ধরে নিয়েছেন।

গবেষকগন একমত যে এ মধ্যযুগ ৫০০ খৃ থেকে ১৫০০ পর্যন্ত ।

আমাদের আলোচনা কুরআন নিয়ে । যে সময় কুরআন অবতীর্ণ হলো এবং যে স্থানে অবতীর্ণ হলো সেটি সম্পর্কে আমাদের অনেক জানার বাকি আছে। প্রচুর গবেষণা প্রয়োজন ।

আমাদের মনে রাখতে হবে কুরআনের আগে অবতীর্ণ তিনটি কেতাব বাতিল করে দেয়া হয়েছে মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাজিল হবার সঙ্গে সঙ্গে

আল্লাহ বলেন ,

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

আর আমি সত্য বিধানসহ তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যা পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সত্যায়নকারী ও সংরক্ষক।

এর পূর্বে অবতীর্ণ কিতাবের সমর্থক ও সংরক্ষকরূপে । আমি তোমার প্রতি সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করেছি। সুতরাং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুসারে তুমি তাদের বিচার-নিষ্পত্তি কর এবং যে সত্য তোমার নিকট এসেছে, তা ত্যাগ করে তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ কর না।

আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি শরীয়াত ও একটি কর্মপথ নির্ধারণ করেছি। আল্লাহ ইচ্ছে করলে তোমাদেরকে একটি উম্মত করতেন। কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন সেই ব্যাপারে তিনি তোমাদের পরীক্ষা করতে চান। এজন্য তোমরা সৎকর্মে অগ্রগামী হও, তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন আল্লাহর দিকেই। পূর্বে তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছিলে, সে সম্বন্ধে তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন।

আর আমি আল্লসহ এই কিতাব কুরআন তোমার প্রতি নাযিল করেছি যা নিজেও সত্যতা গুণে বিভূষিত এর পূর্ববর্তী কিতাবসমূহেরও সত্যায়নকারী এবং ঐ সব কিতাবের বিষয় বস্তুর সংরক্ষকও। অতএব তুমি মুহাম্মদ সাঃ তাদের পারস্পরিক বিষয়ে আল্লাহর নাজিলকৃত এই কিতাব অনুযায়ী মীমাংসা কর, যা তুমি প্রাপ্ত হয়েছ, তা থেকে বিরত হয়ে তাদের প্রবৃত্তি অনুযায়ী কাজ কর না, তোমাদের প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আমি নির্দিষ্ট শরীয়াত এবং নির্দিষ্ট পন্থা নির্ধারণ করেছিলাম; আর যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন তাহলে তোমাদের সকলকে একই উম্মাত করে দিতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি এ কারণে যে, যে ধর্ম তিনি তোমাদেরকে প্রদান করেছেন তাতে তোমাদের সকলকে পরীক্ষা করবেন, সুতরাং তোমরা কল্যাণকর বিষয়সমূহের দিকে ধাবিত হও; তোমাদের সকলকে আল্লাহরই সমীপে প্রত্যাবর্তন করতে হবে, তখন তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন যে বিষয়ে তোমরা মতবিরোধ করছিলে।

(আয়াতের যতসামান্যই তথ্য হিসেবে উপস্থাপন করতে পারি আমরা)

সুরা আল মায়েদা
আয়াত ৪৮

আল্লাহ আমাদের সহীহ সঠিক পথে পরিচালিত করুন ,
আমীন ।

(আলোচনা চলমান)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *