ফারুক আহমেদ,কলকাতা

গ্রন্থবীক্ষণ, ইসলাম চর্চা, গবেষণা, বিশেষ নিবন্ধ, সাহিত্যের আলো, নজরুল চর্চা, বিশেষ আলোকপাত, বিশ্বসাহিত্য, স্থাপত্য ও ভাস্কর্য, স্মরণ, কবিতা, উপন্যাস, গল্প, বিশেষ রচনা, চলচ্চিত্র সহ একাধিক বিভাগ নিয়ে সেজে উঠেছে উদার আকাশ বইমেলা বিশেষ সংখ্যা। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় “জাগোবাংলা”র স্টলে দমদম বিধানসভার বিধায়ক এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী অধ্যাপক ব্রাত্য বসু এবং গিল্ডের সভাপতি সুধাংশুশেখর দে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন “উদার আকাশ” আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা বিশেষ সংখ্যা ২০২৩। উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী অধ্যাপক ব্রাত্য বসুর হাতে উদার আকাশ পত্রিকার বিশেষ সংখ্যাটি তুলে দেন। এই সংখ্যায় কলম ধরেছেন দুই বাংলার শতাধিক লেখক। গুচ্ছ কবিতা লিখেছেন সুবোধ সরকার সহ বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত কবি।
গ্রন্থবীক্ষণে ব্রাত্য বসুর উপর লেখা বেস্ট সেলার বই আলোচনা করেছেন বর্ণালি হাজরা। খাজিম আহমেদ-এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাজন গঙ্গোপাধ্যায়। প্রবন্ধ লিখেছেন সুমিত মুখোপাধ্যায় থেকে মইনুল হাসান সহ অনেকেই।

উদার আকাশ প্রকাশক ও সম্পাদক ফারুক আহমেদ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ১৪২৯ বিশেষ সংখ্যায় সম্পাদকীয় লিখেছেন, “সংস্কৃতি ছাড়া জীবন দুর্বিষহ সাহিত্য ও সংস্কৃতি জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মানুষকে জীবনধারণের জন্য যেমন আহার ভক্ষণ করতে হয়, ঠিক তেমনই বেঁচে থাকার জন্য সংস্কৃতির অপরিহার্যতা প্রাসঙ্গিক হিসেবে দেখা দেয়। তাই সংস্কৃতি ছাড়া জীবন দুর্বিষহ। সংস্কৃতি হল বস্তু ও নির্বস্তুক কলাকৌশলসমূহের সমষ্টি, যা নৈতিক পক্ষপাতশূন্য। সংস্কৃতিতে ভালোমন্দের বিষয়টি মূল্যবোধ হিসেবে বিবেচিত হয়। সে কারণে সংস্কৃতিকে বলা হয় আহরিত আচরণ। যা একটি নিয়ম-কানুনের সমষ্টি। এমন সমষ্টিগত আহরণকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘উদার আকাশ’ থেকে প্রকাশিত হল সৃজন সাহিত্যের পিয়ার রিভিউড দ্বিভাষিক রিসার্চ জার্নালের ‘আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ১৪২৯’ সংখ্যাটি। বাংলা, বাঙালি, বাঙালিত্ব ও বাঙালি সংস্কৃতির অখণ্ড ইতিহাসকে তুলে আনবার একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে জার্নালটির প্রকাশক নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত। বাঙালি সংস্কৃতির যতগুলো সূচক আছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ভাষা। সমাজের ভিন্নতা সত্ত্বেও বাংলা বাঙালিরই ভাষা। সমাজে যখন থেকে বাংলা ভাষার ব্যাবহার ও প্রচলন শুরু হয়েছে তখন থেকে বাঙালি সংস্কৃতির সূচনা। এই সংস্কৃতিকে অমর ও অভিন্ন আবেদনে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখার নিমিত্তে ‘উদার আকাশ’ জার্নালের প্রকাশক ও সম্পাদক তাঁর শেকড় সন্ধানী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। জার্নালটিতে প্রকাশিত রচনাসমূহ আগামীকে তথ্যে সমৃদ্ধ করতে চায়-এমন ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলার অনাড়ম্বর প্রয়াস। উল্লেখ্য যে, এবছর ‘আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৩’-এর থিম কান্ট্রি স্পেনকে নিয়ে প্রণীত নিদর্শন স্বরূপ। বিশিষ্ট চিত্রকার অধ্যাপক বিশ্বজিৎ মিত্র থিম কান্ট্রি স্পেনকে নিয়ে প্রচ্ছদ নির্মাণ করেছেন।
প্রকাশিত উদার আকাশ জার্নালের ‘আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ১৪২৯’ সংখ্যাটিতে বাংলাদেশ ও ভারতের খ্যাতনামা লেখকগণ তাঁদের লেখা পাঠিয়ে ঋদ্ধতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন। যাঁদের লেখা এই সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গবেষক, প্রাবন্ধিক, ইতিহাসজ্ঞ, সাহিত্য সমালোচক, কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার, সুচিন্তক এবং অসংখ্য গুণধর কবি ও সাহিত্যিক। বিষয়বস্তু অনুসারে সংখ্যাটিতে স্থান পাওয়া লেখার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি হয়েছে কবিতা, সাক্ষাৎকার, প্রবন্ধ, বিশেষ নিবন্ধ, নজরুল চর্চার নানা অনুষঙ্গ, গ্রন্থবীক্ষণ, বিশ্বসাহিত্য, স্থাপত্য-ভাস্কর্য, স্মরণ প্রভৃতি মৌলিক রচনা। সংখ্যাটিতে যাঁরা লেখা দিয়ে সানুগ্রহ দেখিয়েছেন তাঁদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। এই সংখ্যায় প্রকাশিত লেখাসমূহ মানব কল্যাণের নিমিত্তে সহায়ক হলে আমার শ্রম সার্থক হিসেবে মনে করব। এমন মহৎ একটি কর্ম সম্পাদন করতে গিয়ে ভুলত্রুটি থেকে যেতে পারে। এজন্য বিনয়াবনত হয়ে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবার অনুরোধ রাখলাম। আগামীতে সবারই সহৃদয় সমাদর প্রত্যাশা করছি। সকলের কল্যাণ হোক।” শাহরুখ খানকে নিয়ে চলচ্চিত্র বিভাগে বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন সম্পাদক ফারুক আহমেদ। উদার আকাশ পত্রিকা ও প্রকাশনের গ্রন্থ পাওয়া যাচ্ছে ৬৪৮ নম্বর বড় স্টলে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *