ঝালকাঠি প্রতিনিধি :নির্বাচনি আচরণ বিধি ভঙ্গ করে প্রচার প্রচারণা চালানো প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরাত জাহান সোনালী সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ করায় ঝালকাঠি সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উম্মে সালমাকে ৮ই মে শোকজ করেছে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছেন উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাঃআঃছালেক ।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ঝালকাঠি জেলার ঝালকাঠি সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসাবে আপনি (জনাব মিসেস উম্মে সালমা, নির্বাচনি প্রতীক: কলস), বিগত ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখ আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জনাব ইসরাত জাহান সোনালী (নির্বাচনি প্রতীক-হাঁস) এর বিরুদ্ধে একটি অনুষ্ঠানে আপনার উপর অতর্কিত হামলাসহ নিজের ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকার সম্ভাবনা নিয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। আপনার নিকট হতে প্রাপ্ত অভিযোগটি এই কার্যালয়ের ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখের ১৭.০৬.৪২০০,০০০,৪০,০০১.২৩.২০৭ নং স্মারকের মাধ্যমে অফিসার ইন চার্জ, ঝালকাঠি সদর থানা, ঝালকাঠি এর নিকট তদন্ত পূর্বক প্রকৃত ঘটনা ঘটনা তদন্ত করার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে অদ্য ৮ মে, ২০২৪ তারিখ তদন্ত প্রতিবেদন নিকট দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আপনি (জনাব মিসেস উম্মে সালমা, নির্বাচনি প্রতীক: কলস) অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জনাব ইসরাত জাহান সোনালী (নির্বাচনি প্রতীক-হাঁস) এর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ও পারিবারিক দোষত্রুটি উল্লেখ পূর্বক অসৌজন্যমূলক মন্তব্য করেন। এছাড়াও আপনি (জনাব মিসেস উম্মে সালমা, নির্বাচনি প্রতীক: কলস) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জনাব ইসরাত জাহান সোনালী (নির্বাচনি প্রতীক- হাঁস) এর ব্যক্তিগত ড্রাইভার জনাব মোঃ মাহবুবুর রহমানকে পার্স ব্যাগ দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেন এবং তার সমর্থক জনাব কবিতা বেগমের সাথে সামান্য ধাক্কা ধাক্কিতে লিপ্ত হওয়ার ফলে তার পরিহিত কামিজ ছিড়ে যায় মর্মে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে। তাছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা উক্ত স্থানে আপনার সাথে মারামারির কোন প্রমান পাননি বলে উল্লেখ করেছেন বরং আপনি আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে কটাক্ষ করে কথা বলার কারনে এই ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। সুতরাং তদন্ত রিপোর্ট
অনুযায়ী আপনার দাখিলকৃত অভিযোগটির বিষয়ে কোন সত্যতা পাওয়া যায় নি।

উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধিমালা ১৮ (ক) মোতবেক “কোন প্রার্থী বা তাহার পক্ষে কোন রাজনৈতিক দল, অন্য কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান- (ক) নির্বাচনি প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করিয়া বক্তব্য প্রদান বা কোন ধরনের তিক্ত বা উস্কানিমূলক বা মানহানিকর কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোন বক্তব্য প্রদান করিতে পারিবে না”। যেহেতু ঝালকাঠি সদর থানা, ঝালকাঠি কর্তৃক তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আপনার দাখিলকৃত অভিযোগটি সম্পর্কে সত্যতা পাওয়া যায় নি, যেহেতু ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে আপনি আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক। কটাক্ষ করে বক্তব্য প্রদান করেছেন, যেহেতু আপনার কর্তৃক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জনাব ইসরাত জাহান সোনালী এর ব্যক্তিগত ড্রাইভার ও ০১ (এক) জন সমর্থক হেনস্থার শিকার হন, যেহেতু আপনি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে রিটার্নিং অফিসারকে বিভ্রান্ত ও বিব্রত করেছেন, এছাড়াও যেহেতু আপনি গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন, বিনয়কাঠী ইউনিয়ন ও নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে আপনার নাম ও প্রতীক সম্বলিত পোস্টার আঠা দিয়ে লাগিয়ে নির্বাচনি প্রচারনা চালিয়েছেন, আপনার এহেন কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৮ (৮) ও বিধি ১৮ (ক) সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন সেহেতু কেন আপনার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে (০৯ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে) দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রার্থী উম্মে সালমা কে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসরাত জাহান সোনালী বলেন
আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে। এবং বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি ঝালকাঠির মেয়ে ঝালকাঠি শহরে মানুষ হয়েছি আমার হলফনামায় কোন মিথ্যে তথ্য নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *