কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: শনিবার দুপুর ১২ টায় কুড়িগ্রাম উলিপুর দূর্গাপুরের হত্যার শিকার ছিদ্দিকুর রহমান ও ধামশ্রেনীর মুকুলের হত্যাস্থান পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম। এ সময় তিনি উলিপুর থানা পরিদর্শন করে দুপুড় ২ টার দিকে ফেরত যান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উলিপুর দূর্গাপুর চন্ডিজনে পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ২৮ শে মে বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে গরু ধানক্ষেত নষ্ট ও ঘড়ের টিনের চালায় আম পরা কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হলে প্রতিপক্ষের আঘাতে কাছুয়ার পুত্র ছিদ্দিকুর রহমান হত্যার শিকার হন। আহত আরও ২ জন কুড়িগ্রাম সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর হতে প্রতিপক্ষরা পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে লাশের ময়না তদন্ত ও দাফন কাফন সম্পন্ন হয়েছে।
অপরদিকে উলিপুর ধামশ্রনী যাদুপোদ্দার এলাকায় গত ১০-০৫-২০২০ইং পারিবারিক কলহ ও খেলাকে কেন্দ্র করে যুবকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়ে পরে সংঘাতে রুপ নেয়। প্রতিপক্ষ শাহাবউদ্দিন পরিবারের সদস্যদের হাতে হত্যার শিকার হন প্রতিবেশী মুকুল মিয়া। এ ঘটনায় মুকুলের স্ত্রী বিউটি বেগম ওরফে নুরীমা বেগম বাদী হয়ে ১৬ জন কে আসামী করে একটি হত্যা মামলা উলিপুর থানায় দায়ের করেছে।
আলোচিত দুটি হত্যার ঘটনাই গুরুত্বের সাথে দেখছে পুলিশ প্রশাসন। দুটি ঘটনারই মামলা দায়ের হয়েছে, তদন্ত কার্যক্রম চলছে। উলিপুরের সামাজিক অস্থিরতা ও পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম প্রত্যেকটি ঘটনার তদন্ত ও পুলিশী কার্যক্রম তদারকি করছেন বলে পুলিশ সুত্র নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম দুপুড় ১২ টায় দূর্গাপুর চন্ডিজান এলাকা পরিদর্শনের সময় উলিপুর বি সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মাহমুদ হাসান, উলিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উলিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, পুলিশ সুপার মহোদয় পিও পরিদর্শনে এসেছিলেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও লোকজনদের সাথে কথা বলেন। স্যার বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। মামলার তদন্ত ও আসামী গ্রেফতারে পুলিশি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে ও জানান।
ধামশ্রের্নীর মামলায় চার জন ও দূর্গাপুরের ঘটনায় একজন গ্রেফতার হয়েছে ও অপরাধ করে কেউ পার পাবেনা উল্লেখ করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম বলেন, এই ধরনের ছোটখাট বিবাদ থেকে যাতে ভবিষ্যতে আর কোন হত্যাকান্ড না ঘটে সে ব্যাপারে প্রতিটি থানায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার করা হবে, ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট এসআই ও এএসআই দের মোবাইল নম্বর ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য জেলার সকল ওসি কে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিট পুলিশিং কার্যক্রম ইউনিয়নভিত্তিক জোরদার করার প্রগ্রেস রিপোর্ট জেলা পুলিশ কুড়িগ্রাম থেকে মনিটরিং করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *