download

কচাকাটা,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানার সংকোস নদী সহ বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন থেকে চলছে অবৈধ বালু উত্তলোন। স্থানীয় থানা প্রশাসনের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে একাধিক বালু উত্তোলনের সিন্ডিকেট। নিয়মনিতির তোয়াক্কা করে না এসব সিন্ডিকেট। ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীসহ বিভিন্ন স্থানের ভূগর্ভস্থ বালু তুলছে তারা । ফলে নদীর তীর ও নিকটস্থ জমি ধ্বসে পড়ছে এতে কৃষি বিপর্যয় ঘটার আশংকা করছে এলাকাবাসী। বার বার উপজেলা প্রশাসন বালু উত্তলোন বন্ধ করে দিলেও পুনরায় চালু হচ্ছে অজানা কারনে। এসব বালু উত্তোলনে টাকার বিনিময়ে অঘষিত অনুমতি দিয়ে থাকে কচাকাটা থানার ওসি এমন অভিযোগ রয়েছে জনগনের মাঝে। থানার সংকোষ ও দুধকুমর নদীসহ বিভিন্ন খালে নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করছে বালুব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডকেট মাসের পর মাস একই স্থান হতে বালু তোলায় সৃষ্টি হয়েছে নদীর পাড় এবং পার্শবর্তি কৃষি জমির ধ্বস। প্রয়োজনে অনুমতি নিয়ে বালু তোলার সরকারী নিয়ম থাকলেও কেউ মানছে না এসব নিয়ম। নিজেদের স্বার্থে এবং অধিক মুনাফার লোভে ড্রেজার বসাচ্ছে যত্রতত্র। বিশেষ করে কচাকাটা বাজারের পাশে প্রবাহমান সংকোষ নদী ও দুধকুমুর নদী নিশানায় পড়েছে এ সিন্ডিকেটের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সংকোষ নদীর একটি স্থানে ২শ গজের ভিতরে বসেছে ৮টি ড্রেজার। প্রতিদিন বালু উঠছে ৫০হাজার সেফটি। বালু উত্তোলনকারী কাচুয়া জানায়, মেশিন প্রতি ১০হাজার টাকা নিয়ে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়ে থাকে কচাকাটা থানার ওসি। অনুমতি দিলেই শেষ নয় মাঝে মধ্যে বাড়তি টাকা দিতে হয় তাকে। আর এ টাকা দিতে ব্যার্থ হলে নেমে আসে ওসি’র তান্ডব। নিজে উপস্থিত থেকে ভেঙ্গে দিয়ে যায় মেশিনের পাইপ । অনেক সময় চাপ সৃষ্টি করে টাকা আদায় করেন তিনি এমন অভিযোগ বাবু নামের একজন খোদ বালু ব্যবসায়ীর। সংশ্লিষ্ঠ্য কেদার ইউপি চেয়ারম্যান আ.খ.ম ওয়াজিদুল কবির রাশেদ জানান মাইকিং, নিষেধ, স্বশরীরে বাধা দিয়েও বন্ধ করা যাচ্ছে না বালু উত্তোলন। দিনের পর দিন বালু উত্তলোনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে আবাদী জমিতে । থানার মদতে অবৈধ বালু উত্তোলন চলছে বলেও তিনি খোভ প্রকাশ করেন। এসব বিষয়ে কচাকাটা থানার ওসি জাকিরুল ইসলাম কথা বলতে রাজি না হলেও টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি বলেন, রাজনৈতীক প্রভাবে বালু উত্তলোন করে আসছে কিছু স্বার্থন্বেসি লোক। নদী ও জমির ভূগর্ভস্থ বালু তোলা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ,এরকম কাজে লিপ্তদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলেন নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আবু হায়াত মো. রহমতুল্ল্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *