আশরাফুল হক রুবেল,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে নুরেশ্বর আমিনিয়া আলীম মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি গঠনে অনিয়ম,প্রিন্সিপালের স্বেচ্ছাচারিতা,ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ সব অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষা বোডের্র একটি তদন্ত কমিটি তদন্ত করেছে। গত ৮ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল কয়েকজন শিক্ষকের সহয়োগিতায় অভিভাবক ও পূর্বের ব্যবস্থাপনা কমিটিকে পাশ কাটিয়ে একটি মনগড়া পকেট কমিটি গঠন করে ।যার পরিপ্রেক্ষিত অভিভাবকরা মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে ২ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।তদন্ত কমিটি রবিবার তদন্তে আসলে প্রিন্সিপাল এর পক্ষের লোকজন অভিযোগকারী পক্ষকে তদন্তকারীদের সামনে যেতে বাঁধা দেবার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগকারী অভিভাবক মোঃ ফকরুল ইসলাম জানান,করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন বন্ধ তখন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহতাব উদ্দিন স্বেচ্ছাচারী মনোভাবে কয়েকজন শিক্ষকের সহযোগিতায় মনগড়া একটি ১০ সদস্য বিশিষ্ট পকেট কমিটি তৈরী করে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে জমা দেন।যা অ্যাডহক কমিটি, অভিভাবক সহ অনেকের অজানা ছিল।পরবর্তীতে পত্রিকায় নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে আমরা বিষয়টি জানতে পারি এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ করি।

এর আগে এই মাদ্রাসায় অভিভাবকদের প্রত্যক্ষ ভোটে মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা পরিষদ নির্বাচিত হতো বলে জানান এই অভিভাবক।তিনি জানান,বর্তমানে মাদ্রাসায় কয়েকটি পদে নিয়োগ দেবার পাঁয়তারা চলছে।এ জন্যই সকলকে না জানিয়ে এই মনগড়া কমিটি তৈরী করা হয়েছে। অভিভাবকরা আরো জানান, গত ৮ ডিসেম্বর কমিটি অনুমোদন নিয়ে আসার পর ১৮ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং ১ জানুয়ারী ২০২২ আবেদনের শেষ তারিখ ও যাচাই বাছাই ২ জানুয়ারী ২০২২ নির্ধারণ করে। এই কমিটির কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে কুড়িগ্রাম জজ কোর্টে মামলা করা হয়েছে মামলা নং ২/২২

এলাকাবাসী ও মাদ্রাসায় সন্তানকে পড়ান এরকম অভিভাবক শাহআলম,ফারুক ,রিয়াজুল মিয়া ও জাহিদুল জানান গত ৬ বছর আগে এই মাদ্রাসায় ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠিত হয়েছে।কিন্তু বর্তমানে প্রিন্সিপাল কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে তিনি এই মনগড়া কমিটি করেছেন নিয়োগ বানিজ্য করার জন্য। তারা সকলে এই কমিটি বাতিল করে ভোটের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত কমিটির দাবী করেন।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহতাব উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান,নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা সহ সব নিয়ম অনুসরন করেছি তারা নির্বাচনে না আসায় কমিটি বোর্ডে জমা দিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্তের কথা তিনি স্বীকার করেন।

রবিবার দুপুরে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের নুরেশ্বর আমিনিয়া আলীম মাদ্রাসায় এ বিষয়ের অভিযোগ তদন্তে আসা উলিপুর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ শাহিন মিয়া বলেন, আমরা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিত তদন্তে এসেছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে জানাবো।

তবে অনেকে অভিযোগ করেছেন, তাদের তদন্ত কমিটির সদস্যের সামনে যেতে বাঁধা দিয়েছে প্রিন্সিপাল এর পক্ষের লোকজন। এ সময় মাদ্রাসার গেটে তালা দেয়া সহ তারা লাঠি সোটা নিয়ে মাদ্রাসার ভেতরে ঐ পক্ষ অবস্থান নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *