শফিউল আলম শফি,কুড়িগ্রাম ঃ

গতকাল সোমবার ২৬মার্চ ৪৭তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সমবেত জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান এবং সার্কিট হাউসে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা প্রদান করেছেন। ওইসব অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্তরের আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ পত্র দেওয়া হয়েছিল। অথচ আমন্ত্রণ পত্র পাননি বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকার। তিনি শুধু খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা নন-তিনি যুদ্ধাকালীণ সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কোম্পানী কমান্ডার ছিলেন। যা ‘হাই কোম্পানী’ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত কুড়িগ্রাম শহরে বিকেল ৪ টায় ৩৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে শহরের ওভারহেড পানির ট্যাংকের উপর প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন । সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পত্র না পাওয়ায় খুব কষ্টের সাথে ক্ষোভ জানিয়েছে। বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকার জানান, যেহেতু অনুষ্ঠানস্থলে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে-সেহেতু আমন্ত্রণ পত্র না পাওয়ায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি।

সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল বাতেন জানান, বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকার আমন্ত্রণ পত্র পাননি জানার পর মোবাইল ফোনে তাকে সার্কিট হাউসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসতে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তিনি অভিমানে আসেননি।

সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন আল পারভেজ জানান, সার্কিট হাউসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাড়ে ৩শ’ জনের মতো মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারসহ প্রায় ৫শ’ জন যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকারকে দেখিনি।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক মোছাঃ সুলতানা পারভীন সাংবাদিকদের জানান, তিনি এ জেলায় সদ্য যোগদান করেছেন। এখনও সব বিষয় অবগত হতে পারেননি। তবে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বিধি এবং রীতি অনুযায়ী সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকার কেন আমন্ত্রণ পত্র পাননি তা খতিয়ে দেখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *