কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলাধীন ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আব্দুল মালেক। তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৪নং ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। শিক্ষকতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন রাজনীতির সাথে আছেন ওতপ্রোতভাবে। অসাধারণ মেধাবী ও পরিশ্রমী এই মানুষটি ১৯৬৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা শহরের ঘোগাদহ ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। সামাজসেবা থেকে শুরু করে শিক্ষকতা তার নামডাক সর্বত্র। ১৯৯১ সালে শিক্ষকতা শুরুর পর ঘোগাদহ মালেকা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন । সামাজিক কাজের মাধ্যমে এলাকায় সুনাম ছড়িয়ে পড়লে পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে পরপর দুইবার দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে তিনি চাকা প্রতীক নিয়ে প্রথম নির্বাচন করেন। নিরষ্কুশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান থাকাকালীন মেধা ও মনন দিয়ে কাজ করে গেছেন ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে থেকে। ১৯৮৫ সালে তিনি স্থানীয় ভিতরবন্দ জেডি একাডেমি থেকে এসএসসি, নাগেশ্বরী সরকারি কলেজ থেকে ১৯৮৮ সালে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ১৯৯০ সালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে ডিগ্রি এবং রংপুরের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতায় দীর্ঘ সময় নারী শিক্ষার প্রসারে এবং সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক সাড়া ফেলেন তিনি। সমাজ সেবক হিসেবে অবদান রাখায় পেয়েছেন বিভিন্ন সংস্থা থেকে একাধিক পুরস্কার। ২০১২ সালে মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড, মহাকবি কায়কোবাদ সম্মাননা-২০১২ এবং কবি সুফিয়া কামাল সম্মাননা-২০১২ লাভ করেন। এছাড়াও কুড়িগ্রাম জেলার আদর্শ ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত হয়ে পেয়েছেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা সিজেএফবি পদক ২০১২ ও মানবাধিকার সম্মাননা এবং দুর্যোগ ও জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবদানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৪ সালে পেয়েছেন বিশেষ সনদ।

তার বাবা মোঃ হাছেন আলী মিঞা ও মা মালেকা বেগমের দুই সন্তানের মধ্যে তিনি জ্যোষ্ঠ। বর্তমানে তিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি ও বাংলাদেশ স্কাউট কুড়িগ্রাম জেলার সহকারী কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জনপ্রতিনিধি হয়ে কাজ করলেও শিক্ষকতায় সফলতার জন্য তিনি বিভিন্ন সময় পুরস্কৃত হয়েছেন। সর্বশেষ শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৭ তে নির্বাচিত হন জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে। এছাড়া, তিনি শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি পদে এবছর মনোনীত হয়েছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মালেক জানায়, ‘শিক্ষকতার পাশাপাশি আমি সময় পেলেই নিরীহ মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। এ ধরনের কাজ করলে আমি মানসিক প্রশান্তি পাই, ভালো লাগা থেকেই কাজ করি। সাধ্যের মধ্যে অনেক সময় চেষ্টা করলেও কিছু ক্ষেত্রে কাজ না করতে পারলে খারাপ লাগে। তাই আমি আবারও জনপ্রতিনিধি হয়ে সমাজ সেবকের মতো মানুষদের জন্য বেশি করে কাজ করতে চাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *