মোঃ নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
ইউনিয়ন পরিষদের মতামত ছাড়াই দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ভিউব্লিউবি (ভিজিডি) কর্মসূচির ২ হাজার ৬৫৯ জনের তালিকা তৈরীতে যাচাই-বাছাই এবং নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করার অভিযোগে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে দুপুর ২ টা হতে ধরে অবরুদ্ধ করেছে ৬ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য-সদস্যারা।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খানসামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের ৫৪টি ওয়ার্ডে ২০২৩ সালের জানুয়ারী থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দুস্থ ভিজিডি কার্যক্রমের আওতায় ২৬৫৯ জন দুস্থ নারী সুবিধা পাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন ভিডব্লিউবি (ভিজিডি) কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে উপজেলা কমিটিতে প্রেরণ করবে। সেটি পরবর্তীতে উপজেলা কমিটি যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিবে। কিন্তু নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিদা আক্তার ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিরঞ্জন কুমার (অঃদাঃ) অটোমেশনের কথা বলে তালিকা অনুমোদন দেয়। এতেই বাঁধে বিপত্তি। এরই প্রতিবাদে ভিডব্লিউবি কার্যক্রমের আওতায় ভিজিডি কর্মসূচীর তালিকা পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেছে ৬ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সদস্যাগণ।

উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান ফোরাম কমিটির সভাপতি ও আংগারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা শাহ জানান, যাচাই-বাছাই করে সঠিক দুস্থ ব্যক্তিদের তালিকা তৈরী করার জন্য উপজেলা থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেটি বাদ দিয়ে তাদের পছন্দমত তালিকা প্রস্তুত করে অনুমোদন দেয় ইউএনও ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। এটি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়মবহির্ভূত। তাই এই তালিকা পরিবর্তন না করা পর্যন্ত আমরা উপজেলা কার্যালয় ত্যাগ করব না।

এবিষয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিরঞ্জন কুমারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে তিনি স্বীকার করেন ইউএনও’র চাপে এই তালিকা অনুমোদন দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *