mail.google

মোহাম্মদ সাকিব চৌধুরী,খানসামা(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাজেবুর রহমান ২০১৫ সালের ২৪ আগষ্ট যোগদান করেন। ইউএনও হিসেবে খানসামা উপজেলায় যোগদানের পর থেকে গত ১১ মাসে উপজেলার অধিকাংশ অফিস থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের দুর্নীতি অনেকাংশেই কমে যায়। সেই সাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাজের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার জন্য জনপ্র্রতিনিধিদের উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহনমূলক বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।
এছাড়া বাল্যবিবাহ রোধ, উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে নজর রাখা, দুঃস্থ ও প্রকৃত কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বন্টন, বিভিন্ন বোরো আবাদে পানির সঠিক বন্টন, কৃষকদের নিকট সরকারী মূল্যে সরাসরি ধান ক্রয়, ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রকৃত ভূমিহীনদের মধ্যে খাস জমি বন্টন, ভূমি বিষয়ে নামজারিতে স্বচ্ছতা, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ এবং মাদক বিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহন করেন। বিশেষ করে আদিবাসী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও হত দরিদ্রদের প্রতি সুদৃষ্টি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন।
তার উদ্যেগেই দিনাজপুরের ১৩ টি উপজেলার মধ্যে সর্বপ্রথম খানসামা উপজেলা বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষনা করা হয়। এরই মধ্যে তিনি কয়েক শতাধিক বাল্যবিবাহ বন্ধ করছেন। তিনি নিজেই উপস্থিত থেকে বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালিত করছেন। এর মধ্য দিয়ে বর্তমানে অনেকাংশই খানসামা উপজেলায় মাদক নিয়ন্ত্রনে এসেছে।
ইতোমধ্যেই খানসামা উপজেলায় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। খানসামা উপজেলার বিভিন্ন অফিস ও বাজার গ্রামের একেবারেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের কাছে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বর্তমান সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাজেবুর রহমানের মত সৎ ও যোগ্য নির্বাহী অফিসার দীর্ঘদিন তার কর্মস্থলে থাকলে অনেকটাই খানসামার সার্বিক অবস্থা পাল্টে যাবে। এরই ধারাবাহিকতা পরবর্তীতেও কার্যক্রম একইভাবে চলবে বলে এলাকাবাসীর মন্তব্য। উপজেলা পর্যায়ে একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা যদি সৎ থাকে তবেই মানুষের ও সমাজ থেকে দুর্নীতিমুক্তসহ পাল্টে যেতে পারে গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও সার্বিক চিত্র।
বিভিন্ন অফিস আদালতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি অনেকাংশেই কমে গেছে। বেঁচে গেছে এলাকার জনসাধারণ। অনেকেই ইউএনওর নিকট সরাসরি গিয়ে কাজ করে নিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউপি চেয়ারম্যানদের কর্মকান্ডে উপর সু-নজর রেখে টি,আর ও কাবিখা প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে নেন। এতে এলাকাবাসী তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। এছাড়াও উপজেলার হাটবাজারের উন্নয়ন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কৃষকদের নিকট সরাসরি ধান ক্রয় নিকট চাল ক্রয়ে তিনি গুরুত্ব¡পূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যা কৃষক জানিয়েছেন। ইতোমধ্যেই ভেজাল খাদ্যের উপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ব্যবসায়ীদের জরিমানা আদায় করায় অধিকাংশ হোটেল রেস্তেরাঁগুলোতে নিম্নমানের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে খানসামাতে ভেজাল খাদ্য অনেকাংশেই নেই বললেই চলে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাজেবুর রহমান রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *