নাটোর প্রতিনিধি.

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র আল হাদিসকে (১৭) কে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় তার পিতা উপজেলার বিয়াঘাট চরপাড়া গ্রামের আলাল শেখ সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শি ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পিতার আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে সোমবার সকাল থেকে আল হাদিস একই গ্রামের কুম্বল মোল্লার রসুনের জমিতে দিনমজুরের কাজ করছিল। দুপুরের দিকে একই গ্রামের মেহের আলীর ছেলে রনির (৩২) নেতৃত্বে কামরুল (১৮), রুহুল (১৯), বাবু (১৯), এনামুল (২২), আলমগীর (১৯) ও নারায়ানপুর গ্রামের মোস্তফার ছেলে পিন্টু (২২) ধারালো হাসুয়া, লোহার হাতুর, কাঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠি নিয়ে হামলা চালিয়ে আল হাদিসকে বেধরক মারপিট ও কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসতে থাকলে হামলাকারী দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তবে গুরুতর আহত আল হাদিসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নেয়। বর্তমানে সে ওই স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ৩নং বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। জানা যায়, ঘটনার আগের দিন বিয়াঘাটের গ্রামীন মেলায় আল হাদিস ও বিয়াঘাট বাবলাতলা গ্রামের কতিপয় উশৃংখল যুবকদের বাকবিতন্ডার জের ধরে ওই মারপিটের ঘটনা ঘটে।

আল হাদিসের পিতা আলাল শেখ দাবী করেন, তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যেই ওই হামলা চালানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাকিবুজ্জামান জানান, গুরুতর আহত আল হাদিসের সমস্ত শরীরে মারপিটের চিহ্ন ছাড়াও মাথার দুই স্থানে ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানোর প্রয়োজন হতে পারে।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *