মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের শস্য ভান্ডার বলা হয় চিরিরবন্দর উপজেলাকে। এ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় সরিষার আবাদ হয়েছে। চাষীদের মধ্যে সরিষা চাষে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি গ্রামের প্রান্তিক কৃষকরা কিছু হলেও সরিষা চাষ করেছে। সরিয়ার ফুলে ফুলে মৌমাছিদের গুণগুণ শব্দে ফুলের রেনু থেকে মধু সংগ্রহ দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। আর কয়েক দিন পরেই সরিষার হলুদ ফুল ঝরে গিয়ে সরিষার দানা ভর্তি ছোট ছোট সবুজ পত্র ছড়াতে শুরু করবে। তখন সবুজে সবুজে ছেয়ে যাবে সরিষার ক্ষেত। ওই পত্রগুলো পরিপুষ্ট হয়ে কালচে বর্ণ ও গাছগুলো মরে যেতে শুরু করলেই সরিষা ঘরে তোলার পর্ব শুরু হবে।

উপজেলা কৃষি সম্পাসারণ বিভাগ জানায়, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে এ রবি মৌসুমে ৪’শ ১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এবাওে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এমনটাই আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উপজেলার রাণীপুর গ্রামের সরিষা চাষি লিয়াকত আলী, আলোকডিহি গ্রামের সুরেন চন্দ্র, সাইতাড়া গ্রামের জহুরুল হক, নশরতপুর গ্রামের আব্দুর রশিদসহ অনেক সরিষা চাষি জানান, আমন ফসলের পর বোরো ফসলের আগে সরিষা আবাদ শুরু হয় এবং বোরো ধান রোপনের আগেই এ ফসলটি ঘরে ওঠে। অন্যদিকে খাদ্য তালিকায় শাক জনপ্রিয় হওয়ায় মৌসুমের শুরুতেই অনেক কৃষক সরিষা শাক বিক্রি করে কাঁচা পয়সা ঘরে তোলে।

চাষিরা আরো জানান, মাঠ পর্যায়ে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ কারিগরি সহযোগিতার কারণে সরিষা ক্ষেত রোগ-বালাই মুক্ত রয়েছে। ফলন ভালো হলে প্রতি একরে প্রায় ১০ মণ সরিষা পাওয়া যাবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ মো. মাহমুদুল হাসান জানান, সরিষা স্বল্পমেয়াদী ও লাভজনক হওয়ায় এ চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। তবে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *